প্রার্থনায় বড়দিন উদযাপন করছেন খ্রিষ্টানরা

0

ঢাকা অফিস: প্রার্থনা আর সংগীতে বড়দিন উদযাপন করছেন খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীরা। মহামারিতে ম্লান হয়ে গেছে বর্ণিল এ উৎসব। ভক্ত-অনুসারীদের উপস্থিতিও কম। প্রার্থনায় বারবার এসেছে করোনা থেকে পরিত্রাণের আকুতি। কুয়াশায় ঢাকা ভোরে শান্ত পায়ে উপসনালয়ে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবাই। ভক্তি জানানো সেই পরমাত্মার প্রতি, যিনি মানুষে মানুষে ভেদাভেদ করেননি। বাইবেলের পবিত্র বাণী আর ধর্মীয় সংগীতের সুরে আধ্যাত্মিক মোহময়তা প্রার্থনাকক্ষে। সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা পৃথিবীর জরা-জীর্ণতা আর হানাহানি দূর হোক। আসুক সুন্দর আগামী। একজন জানান, বড়দিনে এমনিতে ভালো লাগে। পবিত্র যিশুর জন্মদিন। তবে করোনার কারণে ওইভাবে আনন্দ করা যাচ্ছে না। জেরুজালেমের বেথেলহেমে জন্ম নেওয়া যিশু মৃত্যুপথযাত্রীকেও সুস্থতায় ফিরিয়েছেন পরম মমতায়। তখনও পৃথিবী ছিল মহামারির কবলে। তাইতো এই মাহামারিকালে তার বাণী আরও প্রাসঙ্গিক। এক শিশু জানান, করোনার কারণে আত্মীয়স্বজনরা বাসায় আসতেছেন। ওইভাবে আনন্দও করা যাচ্ছে না।আলো আর অনুষঙ্গে সাজলেও এবার গির্জাগুলো দেখছে অন্যরকম বড়দিন। পবিত্র রানি জপমালা গির্জার ফাদার সুব্রত বনিফাস গোমেজ বলেন, যিশু যে আনন্দ নিয়ে আসছেন, শান্তি নিয়ে আসছেন। তার মাধ্যমে পৃথিবী থেকে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব চলে যাবে।  নাগরী সেইন্ট নিকোলাস গির্জা ফাদার জয়ন্ত গোমেজ বলেন, আমরা বিশ্বাস করি ‍যিশু আমাদের ডাক শুনবেন এবং পৃথিবী থেকে করোনা দূর করবেন।

Share.