বিনোদন ডেস্ক: আগস্ট মাসে মুক্তি পেয়েছে ‘গদর ২’। সেপ্টেম্বরেই আসতে চলেছে শাহরুখ খানের ‘জওয়ান’। ছবি মুক্তির ব্যবধান মাসখানেকের হলেও, দুই তারকার সম্পর্কের ব্যবধান অনেকটা। শেষ বার তাদের একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল ডর সিনেমাতে। মুক্তি পেয়েছিল ১৯৯৩ সালে। এই সিনেমাতে নায়কের থেকে খলনায়কের জনপ্রিয়তা দেখে খেপে গিয়েছিলেন সানি দেওল। শোনা যায়, নবাগত শাহরুখের সামনে সেটে বারবার নাকি হেনস্থা করা হচ্ছিল সানিকে। মেনে নিতে পারেননি ধর্মেন্দ্র-পুত্র। প্রায় ১৬ বছর কথা বন্ধ ছিল দুই তারকার। তবে ‘গদর ২’-এর সাফল্য ঘুচিয়েছে সেই দূরত্ব। উদ্যোগ কি শাহরুখই নিয়েছেন? কী বললেন সানি? পাঠানের সাফল্যের পর এখন শাহরুখ ব্যস্ত জওয়ান ছবির প্রচারে। সামাজিক মাধ্যমে অনুরাগীদের সঙ্গে আস্কএসআরকে সেশন করতে দেখা যায় শাহরুখকে। সেখানেই এক অনুরাগী তাকে জিজ্ঞেস করেন গদর ২ দেখেছেন আপনি? জবাবে শাহরুখ লেখেন, হ্যাঁ, দারুণ লেগেছে। অনেকেরই ধারণা ছিল, গদর ২ মুক্তির পর যখন শাহরুখ সানির ছবি দেখলেন, তখন পুরনো তিক্ততা ভুলে ফের নিজেদের সম্পর্ক প্রীতিময় করার চেষ্টা করেছেন দুই অভিনেতা! তবে ঘটনাক্রম ঠিক তেমন নয়। আসলে, গদর ২ মুক্তির আগেই সানিকে ফোন করে শুভেচ্ছা বার্তা দেন বাদশা। সানির কথায়, ছবিটা দেখার আগেই শাহরুখ আমাকে ফোন করেন। পরে আমায় জানান, ছবির সাফল্যে ভীষণ খুশি। আমায় ছবির সাফল্যের জন্য কৃতিত্ব দেন। আমিও ধন্যবাদ জানাই তাকে। শুধু শাহরুখ নয়, বেশ কিছু ক্ষণ তার স্ত্রী গৌরীর সঙ্গেও কথা হয় আমার। বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলি আমরা। তা হলে সানির মান ভাঙালেন এত বছর পর শাহরুখ! না মান ভাঙানোর কথা স্বীকার করতে নারাজ সানি। তিনি বলেন, আসলে সময় সব কিছু ঠিক করে দেয়। ডর সিনেমাতে নায়কের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন সানি এবং খলনায়কের চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা গেছে শাহরুখকে। নিয়ম অনুযায়ী, খলনায়কের চেয়ে নায়কের চরিত্রই সিনেমায় বেশি গ্ল্যামারাস ভাবে দেখানো হয়। কিন্তু ডর ছবির ক্ষেত্রে হয়েছিল উল্টোটাই। শাহরুখের সঙ্গে ১৬ বছর কথা বন্ধের প্রসঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে সানি বলেন, আমি শাহরুখের সঙ্গে কথা বলা কখনওই বন্ধ করিনি। আমি সব কিছু থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রেখেছিলাম। কোথাও বিশেষ যেতামও না। যেখানে শাহরুখের সঙ্গে আমার দেখা হওয়ারই কোনো প্রশ্ন নেই, সেখানে কথা বলা বন্ধ করে দেওয়ার প্রসঙ্গই বা ওঠে কী করে?
প্রায় ১৬ বছর পর সানির মান ভাঙালেন শাহরুখ
0
Share.