বাংলাদেশ থেকে চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে দুই সরকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গৃহকর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাচনী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন ৪৭ বছর বয়সী ওই গৃহকর্মী। মামলায় আরও দুজনকে ধর্ষণের সহযোগী হিসেবে আসামি করা হয়। অন্য দুজন হলেন, ফটিকছড়ির সুন্দরপুর ইউনিয়ন আনসার কমান্ডার ইয়াকুব আলী ও আরেক গৃহকর্মী শিখা শীল। জানা যায়, উপজেলা পরিষদের পাশে ব্যক্তি মালিকানাধীন একটি ভবনের তৃতীয় তলার একটি বাসায় একই সাথে ভাড়া থাকতেন উপজেলা আনসার কমান্ডার সাইদুল ইসলাম ও নির্বাচনী কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির। ওই বাসায় রান্নার কাজ করতেন অভিযোগকারী এ নারী। গেল ২৭ মার্চ বেলা ৩টা নাগাদ অপর কাজের বুয়া শিখা শীল মোবাইলে ফোন করে ঘটনার শিকার নারীকে ওই বাসায় ঢেকে আনেন। বেলা ৪টা নাগাদ হঠাৎ দুই কর্মকর্তা মিলে তাকে ধর্ষণ করে। এ সময় আনসার সদস্য মুহাম্মদ এয়াকুব আলী ও অপর কাজের বুয়া শিখা শীল কক্ষের বাইরে পাহারা দেয়। ধর্ষণ শেষে রক্তাক্ত ওই নারীকে ভয় দেখানো হয় কাউকে না জানাতে। ঘটনার শিকার ওই নারী জানান, এ ঘটনার পর থেকে তাকে ঘর থেকে বের হতে দেয়নি। আনসার সদস্যদের মাধ্যমে তাকে পাহারা দেওয়া হয়, যাতে তিনি কোথাও যেতে না পারে। আনসার সদস্য মোহাম্মদ সেলিমের মাধ্যমে তার চিকিৎসা বাবদ ৩ দফা ২২ হাজার টাকা পাঠায় দুই কর্মকর্তা। পরে তিনি বাসা থেকে বেরুতে চাইলে দুই কর্মকর্তা তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়।’ এ ঘটনা সম্পর্কে অভিযুক্ত উপজেলা আনসার-ভিডিপি কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম ধর্ষণের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। অন্যদিকে, সাবেক উপজেলা নির্বাচন অফিসার এবং বর্তমানে রামগড় উপজেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির মুঠোফোনে বিষয়টি সম্পর্কে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন শুক্রবার সকালে ফটিকছড়ি থানার ওসি কাজী মাসুদ ইবনে আনোয়ার জনকন্ঠকে বলেন, ‘আনসার কর্মকর্তা ও নির্বাচনী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছে। মামলাটি তদন্ত পর্যায়ে আছে। এদিকে, ফটিকছড়ি উপজেলার নবাগত নির্বাহী কর্মকর্তা সাব্বির রহমান সানি উক্ত ঘটনার বিষয়ে জানান যে, ঘটনাটির বিষয়ে তিনি শুনেছেন। তবে তাঁর করার কিছুই নেই।