শনিবার, নভেম্বর ২৩

ফিফা-এএফসিতে যাওয়ার হুমকি সালাউদ্দিনবিরোধীদের

0

স্পোর্টস ডেস্ক: করোনাভাইরাসের কারণে স্থগিত হওয়া বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের নির্বাচন নিয়ে মুখোমুখি অবস্থানে দুই পক্ষ। অফিস আদালত খোলার পর থেকেই নির্বাচন আয়োজন নিয়ে তোড়জোড় শুরু করেছে সালাউদ্দিন শিবির। অপরদিকে সংবাদ সম্মেলন করে ফিফা-এএফসিতে যাওয়ার হুমকি দিচ্ছে বিরোধী শিবির। রোববার ছিল বাফুফের সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধি প্রেরণের শেষ দিন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাউন্সিলরদের নামও জমা পড়েছে। তবে এই কাউন্সিলরশিপ প্রদানে বাফুফের অনিয়ম নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বেশ কয়েকটি ক্লাবের কর্মকর্তারা। ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটিতে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তারা দাবি করেন গঠনতন্ত্র মেনে ক্লাব কমিটি গঠন, বাফুফের সমস্ত নিয়মকানুন মেনে রেজ্যুলেশন তৈরি, বৈধ কমিটির কাগজপত্র প্রদান করার পরও বেশ কয়েকটি ক্লাব-সংস্থাকে ডেলিগেট ফরম দেয়নি বাফুফে। সংবাদ সম্মেলনে নবাবপুর ক্রীড়া চক্রের সভাপতি দাবি করা আলিমুজ্জামান আলম বলেন, সেই ২০০১ সালে ক্লাবের গঠনতন্ত্র প্রণনয় করা হয়। অথচ বৈধ কমিটির লোকদের বাদ দিয়ে অবৈধ গঠনতন্ত্র জমাদানকারিদের হাতে এবার ডেলিগেট ফরম তুলে দিয়েছে বাফুফে।তার দাবি নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে এবং বাফুফের গঠনতন্ত্র মেনে কাগজপত্র নিয়ে (ডেলিগেট ফরম) দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়িয়েছেন। বাফুফে ভবনেই তাকে ঢুকতে দেয়া হয়নি। বাফুফের কর্তারা তার ফোন ধরেননি। ডেলিগেট ফরম না পেয়ে এবং তার পরিবর্তে অবৈধ ব্যক্তিদের হাতে ডেলিগেট ফরম তুলে দেয়ায় আইনের আশ্রয় নিয়েছেন আলিমুজ্জামান। এ বিষয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করার কথা জানান তিনি। দিলকুশা স্পোর্টিং ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শাহীনুর রহমান শাহীন বলেন, ‘বাফুফের কর্তারা আমাদের সঙ্গে যে ধরনের আচরণ করছেন সত্যিই দুঃখজনক। আমরা কিন্তু স্ব-স্ব স্থানে সম্মানিত। আমাদের বৈধ কমিটিকে বঞ্চিত করে নিজেদের পছন্দের লোককে ডেলিগেট ফরম দিয়েছে শুধুমাত্র বাফুফের কর্তাদের কথায় রাজি না হওয়ায়। শাহীন বলেন, জাবের বিন আনসারী (বাফুফে ম্যানেজার কম্পিটিশন) লকডাউনের মধ্যে আমাকে বাফুফে ভবনে ডেকে নেন। বলেন আমাদের কমিটিকে অনুমোদন দেয়া হবে; যদি তাদের পছন্দের ব্যক্তিকে কাউন্সিলর করানো হয়। আমি জাবের সাহেবকে বললাম. এই প্রস্তাব কি আপনার? ওনি বললেন সোহাগ (আবু নাঈম সোহাগ) সাহেব আপনাকে এই প্রস্তাব দিতে বলেছেন। আমি বলেছি এই প্রস্তাব মেনে নেয়া সম্ভব নয়’। টাঙ্গাইল ফুটবল একাডেমির সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান খান জামিল বলেন, ৮ লাখ টাকায় ডেলিগেট ফরম বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগের কাছে বিক্রি করে দিতে বলা হয়েছিল। আমি সোহাগের সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছি। টাঙ্গাইল ফুটবল একাডেমি তাদের ডেলিগেট হিসেবে সাবেক ফুটবলার ক্লাবটির স্পোর্টস সেক্রেটারি হাসানুজ্জামান খান বাবলুর নাম প্রস্তাব করেছিলেন। কিন্তু সোহাগ এতে রাজি হননি। বলেছেন বাবলুকে সরিয়ে অন্য নাম দিতে। ঢাকা বিভাগীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের নবনির্বাচিত সভাপতি শাহীনুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, নির্বাচন সামনে রেখে অবৈধ কর্মকাণ্ড করে যাচ্ছে বাফুফে। ডেলিগেট ফরম নিয়ে তো রীতিমতো দুর্নীতি, অনিয়ম করেছে। বাফুফের সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী এমপি’র দিকে ইঙ্গিত শাহীনুলের। ঢাকা বিভাগীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের ডেলিগেট কে হবেন সেটা সালাম মুর্শেদী ঠিক করে দেবেন এবং সেই দাবি শাহীনুল ভূঁইয়াকে মেনে নিতে বলেন। দাবি মেনে না নেয়ায় বাফুফে শাহীনুল ভূঁইয়ার সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে। শাহীনুলের বৈধ কমিটিকে কোনো ধরনের সহযোগিতাই করছে না। বাফুফের ঢাকা বিভাগীয় ফুটবল অ্যাাসোসিয়েশনের বর্তমান বৈধ কমিটিকে বাদ দেয়ার হুমকির প্রেক্ষিতে আইনের আশ্রয়ের কথাও জানিয়েছেন শাহীনুল ভূঁইয়া। নির্বাচনকে একমুখী করতে নাকি এমন পায়তারা বাফুফের। বাফুফে চেয়েছিল আব্দুর রহিমকে ডেলিগেট করুক ঢাকা বিভাগীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন। কিন্তু শাহীনুল ভূঁইয়া এতে রাজি হননি।

Share.