শুক্রবার, ডিসেম্বর ২৭

‘ফিলিস্তিনিদের সাহায্য করায় হত্যা করা হয় সোলাইমানিকে’

0
ডেস্ক রিপোর্ট: ইরানের জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে বায়তুল মুকাদ্দাসের শহীদ আখ্যায়িত করে ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়া বলেন, জেনারেল সোলাইমানি আজীবন ফিলিস্তিনের প্রতি সমর্থন ও সহযোগিতা দিয়ে গেছেন। ফিলিস্তিনকে সাহায্যের কারণেই আজ সোলাইমানিকে হত্যা করা হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি। জেনারেল সোলাইমানি এবং কমান্ডার আবু মাহদি আল মুহান্দিসসহ নিহতদের জানাজা অনুষ্ঠানে সোমবার তেহরানে তিনি এসব কথা বলেন। জেনারেল সোলাইমানির জানাজায় অংশ নিতে ইসমাইল হানিয়া বর্তমানে ইরানে অবস্থান করছেন। জানাজাপূর্ব বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘আমরা এখানে এসেছি অন্তরের ভালবাসা থেকে শহীদ সোলাইমানিকে স্মরণ করতে, যার সাহায্য ও সহযোগিতা ফিলিস্তিন রক্ষার সংগ্রামকে আরও গতি দিয়েছে। আমরা আর কখনওই পেছনে ফিরে যাবো না, এই শাহাদাত কুদস এবং ফিলিস্তিন স্বাধীন করতে আল্লাহর ইচ্ছায় আমরা সামনে এগিয়ে যাবো। হানিয়া আরও বলেন, ‘শহীদ সোলাইমানি তার পুরো জীবন ফিলিস্তিন রক্ষা করতেই সময় দিয়ে এসেছেন। আমি ঘোষণা দিতে চাই শহীদ সোলাইমানি ‘কুদসের একজন শহীদ, কুদসের একজন শহীদ’। গাজায় এবং লেবাননের সংগ্রামে যে বিজয় তিনি নিয়ে এসেছিলেন আল্লাহর সহায়তায় সে বিজয় অব্যাহত থাকবে।’ হামাস নেতা আরও বলেন, ‘ইসলামি প্রতিরোধের মাধ্যমে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সব ষড়যন্ত্র পণ্ড করে দেওয়া হবে। এদিকে ইরানি জেনারেল কাসেম সোলাইমানি হত্যাকাণ্ডে শোক প্রকাশ করেছেন অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার লাখ লাখ বাসিন্দা। প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস ও ইসলামিক জিহাদের প্রতি ইরানের সমর্থন রয়েছে। শহরের মূলকেন্দ্রে সোলাইমানির সমর্থনে একটি তাঁবু নির্মাণ করা হয়। সে তাঁবুতে শত শত শোকগ্রস্ত লোককে জমায়েত হতে দেখা গেছে। তাঁবুতে ঢোকার সময় দর্শনার্থীরা যেন পা দিয়ে মাড়িয়ে যেতে পারেন, সেজন্য সেখানে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের পতাকা বিছিয়ে দেওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে সেই পতাকায় আগুনও ধরিয়ে দেন তারা। শুক্রবারে মার্কিন সেনাদের এ হত্যাকাণ্ডে সমর্থন জানিয়েছে অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইল। ইহুদি রাষ্ট্রটিকে পৃথিবীর বুক থেকে মুছে ফেলতে ইসলামিক জিহাদ ও হামাসকে বহু আগে থেকেই সহায়তা করে আসছে ইরান। কাজেই সোলাইমানিকে হত্যা ফিলিস্তিনিদের জন্য বড় ক্ষতি বলে আখ্যায়িত করেন ইসমাইল রাদওয়ান।
Share.