ডেস্ক রিপোর্ট: ফিলিস্তিনি জনগণের দুর্দশা উপেক্ষা করার মতো নয় বলে মন্তব্য করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি বলেন, ফিলিস্তিনিরা বছরের পর বছর ধরে এক চরম অবিচার সহ্য করে আসছে যা অবিশ্বাস্য হারে বেড়েই চলেছে। বুধবার মস্কোয় এনার্জি উইক ফোরামে দেয়া বক্তব্যে এসব বলেন পুতিন। এর ঠিক একদিন আগেই তিনি ইরাকের প্রধানমন্ত্রী শিয়া আল সুদানির সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে পুতিন বলেন, ফিলিস্তিনিদের সাথে যা ঘটছে তা অবিশ্বাস্য। রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, ১৯৪৮ সালে ইসরায়েল রাষ্ট্রের পাশাপাশি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র ঘোষণা করা উচিত ছিল কিন্তু সেটা এখনও হয়নি। তিনি বলেন, ‘ফিলিস্তিনের সমস্যা পুরো প্রতিটি ব্যক্তির হৃদয়ে এবং ইসলাম পালনকারী প্রতিটি ব্যক্তির হৃদয়ে রয়েছে। গাজা উপত্যকার চারপাশে চলমান ইসরায়েলি হামলার ঠিক এমন সময়েই রুশ প্রেসিডেন্ট এ মন্তব্য করলেন। গাজাভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ইসরায়েলে আক্রমণ শুরু করার পর একটি নতুন সংঘাতের সৃষ্টি হয়। এ সংঘাতে এখন পর্যন্ত হাজারের বেশি ইসরায়েলি নিহত হয়েছে। যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক মানুষ। জাতিসংঘ এই সপ্তাহের শুরুতে জানায়, এই সংঘাত উভয় পক্ষের দ্বারা সংঘটিত এবং এটি যুদ্ধাপরাধের সামিল। এই সংঘাতের বিষয়ে তদন্ত শুরু করা হবে। কারণ হামাস এবং ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) উভয়ই আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে। এই সংঘাতের জন্য ভ্লাদিমির পুতিন ইসরায়েলের ‘সেটেলমেন্ট পলিসি’কে দায়ী করেছেন। যার মাধ্যমে পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের কাছ থেকে জমি দখল করে বসতি গড়ে চলেছে ইসরায়েলিরা। ফিলিস্তিনের প্রতি ‘অটল’ সমর্থন জানিয়েছে সৌদি আরব। সেইসাথে ইরানসহ মধ্যপ্রাচ্যের প্রতিটি মুসলিম দেশ ফিলিস্তিনের পক্ষে বিবৃতি দিয়েছে। অন্যদিকে, ইসরায়েলের সমর্থনে অস্ত্র পাঠিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সংঘাতে নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ইসরায়েলি সেনাবাহীনি ও হামাসের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পুতিন। সংঘাতে যেন কোনো বেসামরিক লোকের প্রাণহানি না হয় সেদিকেও নজর দেয়ার আহ্বান জানান রুশ প্রেসিডেন্ট। সেইসাথে দুই পক্ষকে সংঘাত বন্ধ করার দাবি জানান তিনি।
ফিলিস্তিনি জনগণের দুর্দশা উপেক্ষা করার মতো নয় : পুতিন
0
Share.