ঢাকা অফিস: দেশব্যাপী ধর্ষণ, নিপীড়ন ও বিচারহীনতার প্রতিবাদে রাজধানীর শাহবাগ থেকে নোয়াখালী অভিমুখী লংমার্চে হামলার ঘটনায় অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন। লংমার্চটি ফেনী শহরে পৌঁছানোর পর আজ শনিবার আয়োজিত সমাবেশ শেষে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শহরের কুমিল্লা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। এর আগে শহরের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে সমাবেশ করে লংমার্চে অংশ নেওয়া বামপন্থি ছাত্রসংগঠনগুলো। লংমার্চে অংশ নেওয়া বামপন্থি ছাত্রসংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেন, ধর্ষণের বিরুদ্ধে সমাবেশ ও প্রচারাভিযান করে ফেনী জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের দিকে লংমার্চটি যাওয়ার সময় কুমিল্লা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় কয়েকজন সন্ত্রাসী লাঠিসোটা নিয়ে হামলা করে। এ সময় লংমার্চে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে হৃদয়, শাহাদাত, অনিক, যাওয়াদসহ আরো কয়েকজন আহত হন। বামপন্থি ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মীরা আরো অভিযোগ করেন, ‘সমাবেশে সরকার ও ক্ষমতাসীনদের সমালোচনা করে বক্তব্য দেওয়ায় ক্ষমতাসীনরা ক্ষিপ্ত হয়ে লংমার্চে হামলা করে। হামলাকারীরা সরকারি দলের লোক। পুলিশি পাহারায় সন্ত্রাসীরা হামলা করেছে। এ ঘটনা ঘটিয়ে আমাদের আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে চেয়েছে।’ বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন ফেনী শহর শাখার সাধারণ সম্পাদক ও ফেনীতে সমাবেশের পরিচালক পংকজ দেবনাথ সূর্য বলেন, ‘এ হামলা ন্যক্কারজনক। আমাদের কর্মীদের হামলা করে দমিয়ে দিতে চায় সন্ত্রাসীরা।’এর আগে শহরের শহীদ মিনারের পাশে দোয়েল চত্বরে সমাবেশ চলাকালে স্থানীয় সাংসদের ছবির ওপর লাল রং লাগিয়ে নেতিবাচক বক্তব্য লেখাকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে লংমার্চে অংশগ্রহণকারীদের বাগ্বিতণ্ডা হয়। এ সময় ফেনী সদর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আতোয়ার রহমান ও ফেনী মডেল থানার পরিদর্শক (ওসি) আলমগীর হোসেন ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
ফেনীতে ধর্ষণ-নিপীড়নবিরোধী লংমার্চে হামলা, আহত ৫
0
Share.