শনিবার, নভেম্বর ২৩

ফের দুইটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে উত্তর কোরিয়া

0

ডেস্ক রিপোর্ট: রবিবার ভোরে ফের দুইটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে উত্তর কোরিয়া। এই নিয়ে দুই সপ্তাহের মধ্যে সপ্তমবারের মতো ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়লো দেশটি। উত্তর কোরিয়ার সাম্প্রতিক এই উৎক্ষেপণে শঙ্কিত ওয়াশিংটন এবং টোকিও। দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তারা বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের বৃদ্ধি ২০১৭ সালের পর পুনরায় পরমাণু পরীক্ষার ইঙ্গিত দেয়। কয়েক মাস ধরে তাদের পরীক্ষাস্থলে প্রস্তুতি পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। জাপানের প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী তোশিরো ইনো সাংবাদিকদের বলেছেন, রবিবারের দুটি ক্ষেপণাস্ত্রের রেঞ্জ ১০০ কিলোমিটার উচ্চতা এবং ৩৫০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত ছিল। প্রথমটি উৎক্ষেপণ করা হয় ম্থানীয় সময় ১:৪৭ মিনিটে এবং এর ঠিক ছয় মিনিট পর দ্বিতীয়টি ছোড়া হয়। ক্ষেপণাস্ত্র দুইটি জাপানের একচেটিয়া অর্থনৈতিক অঞ্চলের বাইরে পড়েছিল। সেগুলি কী ধরণের ক্ষেপণাস্ত্র ছিল কর্তৃপক্ষ তা খতিয়ে দেখছে। তবে এগুলো সাবমেরিন-লঞ্চ করা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হওয়ার সম্ভাবনা বেশি বলে প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন। মার্কিন সামরিক বাহিনী বলেছে, তারা উৎক্ষেপণের পর মিত্রদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে পরামর্শ করছে। আলোচনায় উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির ‘অস্থিতিশীল প্রভাব’ তুলে ধরা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, সর্বশেষ উৎক্ষেপণগুলি মার্কিন কর্মী বা মিত্রদের জন্য হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়ায়নি। হাওয়াই-ভিত্তিক ইউএস ইন্দো-প্যাসিফিক কমান্ড এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘কোরিয়া ও জাপান প্রজাতন্ত্রের প্রতিরক্ষার জন্য মার্কিন প্রতিশ্রুতিগুলি লোহার আবরণে রয়ে গেছে।’ মঙ্গলবার উত্তর কোরিয়া আগের চেয়ে অনেক দূরে একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছে। গত পাঁচ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো জাপানের ওপর দিয়ে ক্ষেপণাস্ত্রটি ছোড়া হয়েছিল। জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপানের পারমাণবিক দূতরা টেলিফোনে আলাপ করেছে এবং মতামত জানিয়েছে। তারা জানিয়েছে, উত্তরের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ বেসামরিক বিমান চলাচলের ঝুঁকির পাশাপাশি এই অঞ্চল এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের শান্তি ও নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলেছে। বিমান চলাচল প্রশাসনের এক মুখপাত্রের বরাত দিয়ে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় মিডিয়া কেসিএনএ বলেছে, ‘আমাদের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষাগুলি হল একটি স্বাভাবিক, পরিকল্পিত আত্মরক্ষার ব্যবস্থা যাতে আমাদের দেশের নিরাপত্তা এবং আঞ্চলিক শান্তিকে সরাসরি মার্কিন সামরিক হুমকি থেকে রক্ষা করা যায়।’ উত্তর কোরিয়ার সর্বশেষ ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রও শুক্রবার নতুন নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিয়েছে।

Share.