রবিবার, নভেম্বর ২৪

ফ্রান্সে মুসলিম নেতাদের ১৫ দিনের আলটিমেটাম

0

ডেস্ক রিপোর্ট: বিশ্বব্যাপী উত্তেজনার মধ্যেই রাষ্ট্রীয় মূল্যবোধ রক্ষায় একটি সনদ মেনে নিতে ফ্রান্সের মুসলিম নেতাদের আলটিমেটাম দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ।  বুধবার তিনি ফ্রান্স কাউন্সিল অব দ্য মুসলিম ফেইথ (সিএফসিএম)-কে এই সনদ গ্রহণের জন্য ১৫ দিনের আলটিমেটাম দেন।  ফ্রান্সের ‘চরমপন্থি’ ইসলামের বিস্তৃতি ঠেকাতে তিনি এমন কড়া অবস্থান নিয়েছেন। প্রতিবেদনে বলা হয়, সনদটি মেনে নিতে বুধবার ফ্রান্স কাউন্সিল অব দ্য মুসলিম ফেইথ (সিএফসিএম)-কে ১৫ দিনের সময় বেঁধে দেয়। এই সনদে বলা হয়েছে, ইসলামকে শুধু ধর্ম হিসেবেই গ্রহণ করতে হবে, রাজনৈতিকভাবে নয়। ফরাসি মুসলিম সংগঠনদের ওপর বিদেশি কোনও প্রভাব বিস্তারও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বুধবার রাতে ম্যাক্রোঁ ও তার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরাল্ড ডারমানিয়ান প্রেসিডেন্টের বাসভবনে সিএফসিএমের আটজন নেতার সঙ্গে দেখা করেন। মুসলিমদের নেতাদের প্রতি একটি সনদ উপস্থাপন করেন ম্যাক্রোঁ। যাতে ফ্রান্সের মুসলিমদের জন্য আচরণবিধি ঠিক করে দেওয়া হয়েছে। সেগুলো হলো- হোম-স্কুলিং বা ঘরে থেকে পড়ালেখা চালিয়ে যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা এবং ধর্মীয় কারণে সরকারি কর্মকর্তাদের হুমকি দেওয়া বা ভয় দেখানো হলে আরও কঠিন শাস্তির বিধান।
নতুন আইনের অধীনে শিশুদের একটি পরিচিতি বা আইডেন্টিফিকেশন নম্বর প্রদান করা, যার মাধ্যমে নিশ্চিত করা যাবে যে তারা স্কুলে যাচ্ছে কি-না। যেসব অভিভাবক এই আইন অমান্য করবে, তাদের বড় অঙ্কের জরিমানা-সহ ছয় মাস পর্যন্ত কারাদণ্ডের শাস্তি দেয়া হতে পারে। কোনো ব্যক্তির ব্যক্তিগত তথ্য, যার মাধ্যমে তার ক্ষতি করা সম্ভব হতে পারে, সেই ধরনের তথ্য শেয়ার করার ওপর নিষেধাজ্ঞা।
সিএফসিএম ইতোমধ্যে একটি জাতীয় ইমাম কাউন্সিল করবে বলে সরকারি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একমত হয়েছে। সরকারি অনুমোদনের মাধ্যমে এ কাউন্সিল কোনও মসজিদের ইমাম নিয়োগ দেবে, যাকে পরবর্তীতে প্রত্যাহার করাও যাবে। এ বিষয়ে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দারমানিন লা ফিগারো পত্রিকাকে বুধবার বলেন, ‘আমাদের শিশুদের ইসলামিস্টদের থাবা থেকে বাঁচাতে হবে।’ প্রস্তাবিত খসড়া আইনটি নিয়ে ৯ ডিসেম্বর ফরারি মন্ত্রিসভায় আলোচনা হবে বলেও জানান তিনি।দেশটিতে ইসলামের নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর ব্যঙ্গচিত্র নিয়ে ক্লাসে আলোচনা করায় এক শিক্ষক হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। এ ঘটনার এক মাস পর মুসলিমদের নাগরিকদের ওপর আচরণবিধি ঠিক করে দিল ফ্রান্স। ওই হত্যাকাণ্ডের জেরে ইসলাম ও মুসলিমদের প্রতি ম্যাক্রোঁ কঠোর সমালোচনা ও ব্যঙ্গাত্মক কার্টুন চালু রাখার ঘোষণা বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় তোলে।

Share.