বাংলাদেশ থেকে কুমিল্লা প্রতিনিধি: বন্যা ও বৃষ্টির প্রভাবে কুমিল্লায় দুইদিনে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে গতকাল বুধবার (২১ আগস্ট) মারা গেছেন তিনজন ও সোমবার মারা গেছেন একজন। নিহতদের মধ্যে দুইজন বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে, একজনের মাথায় গাছ পড়ে এবং একজন পানিতে তলিয়ে মারা যান বলে জানা গেছে। বুধবার রাতে কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বন্যার পানিতে তলিয়ে কেরামত আলী (৪৫) নামে এক ব্যক্তি মারা যান। কেরামত আলী পৌরসভার দাউদপুর এলাকার বাসিন্দা। গতকাল মধ্যরাতে মাছ ধরতে স্থানীয় একটি ব্রিজের নিচে যান তিনি। প্রবল স্রোতে তলিয়ে যান কেরামত আলী। তিনি হারিয়ে গেলে স্থানীয়রা খোঁজাখুঁজি শুরু করে। কিছু সময় পর ঘটনাস্থলের অদূরে তার মরদেহ ভেসে উঠতে দেখা যায়। স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা দেব দাস দেব বলেন, কেরামত আলীকে রাত ১২টার দিকে হাসপাতালে আনা হয়। তিনি মাছ ধরতে গিয়ে পিছলে পড়ে স্রোতের কারণে আর উঠতে পারেননি বলে জানতে পেরেছি। এদিকে বুধবার বিকেলে বৃষ্টির মধ্যে বৈদ্যুতিক পিলারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে রাফি (১৫) নামে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। রাফি নগরীর ছোটরা এলাকার বাসিন্দা। কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক যোবায়ের হোসেন তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বন্যার পানিতে মাছ ধরার সময় চৌদ্দগ্রামে মাথায় গাছ পড়ে শাহাদাত হোসেন (৩৪) নামের এক প্রবাসীর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (২১ আগস্ট) সকালে চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার সোনাকাটিয়া (আদর্শ গ্রাম) পূর্বপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তিনি উপজেলার সোনাকাটিয়া গ্রামের কানু মিয়ার ছেলে। এর আগে সোহরাব হোসেন সোহাগ নামে এক আইনজীবী বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান। অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রেখে বের হলে বৃষ্টির পানিতে পড়ে থাকা বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
বন্যা ও বৃষ্টির প্রভাবে কুমিল্লায় দুইদিনে চারজনের মৃত্যু
0
Share.