বাংলাদেশ থেকে বরিশাল প্রতিনিধি: জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলায় দুইটি, বানারীপাড়ায় একটি ও গৌরনদী উপজেলায় একটি ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজ দিয়ে প্রতিনিয়ত হাজার-হাজার এলাকাবাসী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছে। দীর্ঘদিন থেকে এসব ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজগুলো সংস্কারের জন্য স্থানীয় সংশ্লিষ্ট দফতরের উর্ধ্বতন কর্তকর্তাদের কাছে দাবি জানিয়ে আসলেও অদ্যবর্ধি কোন সুফল মেলেনি। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বানারীপাড়া উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের পশ্চিম বাইশারী, ডুমুরিয়া, ইলুহার, মলুহার, বিহারিলাল, যাওয়ার একমাত্র সড়কের অবস্থান বাইশারী ইউনিয়ন পরিষদের সামনের রাস্তাটি। ওই রাস্তার খালের মধ্যে দুইপারের একমাত্র সেতু বন্ধন ব্রিজটি দীর্ঘদিন থেকে ঝুঁকিপূর্ন অবস্থায় রয়েছে। ব্রিজটির অবস্থা বর্তমানে এতোটাই নড়বরে, যেকোন সময় তা ভেঙ্গে পড়ে মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। স্থানীয়রা সম্প্রতি সময়ে বিপদ সংকেত হিসেবে ব্রিজের দুইপাড়ে লাল নিশানা উড়িয়ে দিয়েছেন। ঝুঁকিপূর্ন ব্রিজটি অপসারন করে নতুন ব্রিজ নির্মাণের জন্য এলাকাবাসী দীর্ঘদিন থেকে দাবি করে আসছেন। আগৈলঝাড়া উপজেলার পশ্চিম মোল্লাপাড়া গ্রামের সরকার বাড়ি সংলগ্ন খালের উপর প্রায় ৩০ বছর পূর্বে নির্মিত ব্রিজের মধ্যে গর্তের সৃষ্টি হয়ে রড বের হয়ে গেছে। প্রতিদিন শত শত মানুষ ঝুঁকি নিয়ে জরাজীর্ণ ওই ব্রিজ দিয়ে পারাপার হচ্ছেন। উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি) কার্যালয় থেকে ব্রিজটি সংস্কারের ব্যবস্থা নিচ্ছেনা বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন রত্নপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ গোলাম মোস্তফা সরদার বলেন, ওই ব্রিজটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ঝুঁকিপূর্ণ ওই ব্রিজটি সংস্কার করা হলে ওই এলাকার মানুষসহ আশপাশের অনেক গ্রামের মানুষ উপকৃত হবে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অবহিত করা হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। উপজেলা প্রকৌশলী শিপলু কর্মকার বলেন, খুব শীঘ্রই সরেজমিন পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। একই উপজেলার গৈলা ইউনিয়নের রথখোলা-ভদ্রপাড়া খালের উপর পূর্বসুজনকাঠি শানুহার গ্রামে গত দেড়বছর পূর্বে ইউনিয়ন পরিষদের অর্থায়নে একটি আয়রন ব্রিজ নির্মিত হয়েছে। কিন্তু ব্রিজটি নির্মাণের পর থেকে অদ্যবর্ধি এখনো ব্রিজের সাথে সড়কের কোন সংযোগ ঘটানো হয়নি। এতে করে চরম দুর্ভোগে পরেছেন হাজার-হাজার মানুষ। স্থানীয়রা দ্রুত ব্রিজটির জন্য একটি সংযোগ সড়ক নির্মাণের দাবি করেছেন। গৈলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম টিটু বলেন, অর্থ সংকটের কারণে সড়কটি নির্মাণ করা এখন পর্যন্ত সম্ভব হয়নি। সড়কটি নির্মাণের জন্য বিকল্পভাবে অর্থ বরাদ্দ করে সংযোগ সড়ক নির্মাণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। গৌরনদী উপজেলার সরিকল বন্দরের মধ্যকার ব্রিজটি দীর্ঘদিন থেকে চলাচলে মরন ফাঁদে পরিনত হলেও বিষয়টি দেখার যেন কেউ নেই। বন্দরের ব্যবসায়ীরা জানান, বিগত আট বছর ধরে ব্রিজটি ধ্বসে পরে রয়েছে। প্রতিদিন সহজ যাতায়াতের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজ দিয়ে পারাপার হতে গিয়ে অসংখ্য মানুষ দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন।