ঢাকা অফিস:বাংলাদেশের গণমাধ্যম পুরোপুরি স্বাধীন এবং গত সাড়ে ১২ বছরে যে পরিমাণ স্বাধীনতা ভোগ করেছে ও গণমাধ্যমের যে বিকাশ হয়েছে, অনেক উন্নয়নশীল দেশের জন্য তা উদাহরণস্বরূপ বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি আরও বলেন, বিশ্বে কিছু সংস্থা আছে যারা বিবৃতি বিক্রি করে।বুধবার (৭ জুলাই) দুপুরে মন্ত্রী রাজধানীর মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবন থেকে অনলাইনে মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে তথ্য অধিদফতর সংকলিত ‘অনশ্বর বঙ্গবন্ধু’গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচনকালে একথা বলেন। ভার্চুয়াল এ অনুষ্ঠানে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান, সচিব মো. মকবুল হোসেন, প্রধান তথ্য অফিসার সুরথ কুমার সরকার এবং পিআইডির জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা অংশ নেন।এ সময় ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিশ্বে কিছু সংস্থা আছে যারা বিবৃতি বিক্রি করে। আমরা সাম্প্রতিক সময়ে দেখতে পাচ্ছি, কিছু সংস্থা বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট নিয়ে বিবৃতি দিচ্ছেন। এগুলো আসল বিবৃতি বা প্রতিবেদন নয়, বিশেষ মহলের প্ররোচনায় বিশেষ প্রেক্ষিতে, বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে তারা এগুলো দিচ্ছেন, মাঝেমধ্যে বিবৃতি বিক্রিও করছেন।মানবাধিকার সংস্থার নামে বিবৃতি বিক্রি বা রিপোর্ট প্রকাশ করা মানবাধিকার উন্নয়নে সহায়ক হয় না বরং মানবাধিকার সংরক্ষণের বিরুদ্ধে যায়, বলেন ড. হাছান মাহমুদ।তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশে গণমাধ্যম যে পরিমাণ স্বাধীনতা ভোগ করে এধরণের স্বাধীনতা কোনো উন্নয়নশীল দেশে ভোগ করে না। আর যে সমস্ত দেশ থেকে এ ধরনের বিবৃতি বা রিপোর্ট দেয়া হয়, সেই সমস্ত দেশে গণমাধ্যমের যে পরিমাণ জবাবদিহিতা আছে, আমাদের দেশে সেটি নেই। সেখানে যেকোনো ভুল সংবাদ পরিবেশন করলে মোটা অঙ্কের জরিমানা গুনতে হয়। ভুল বা অসত্য সংবাদ পরিবেশনের জন্য অনেক সময় পত্রিকা বন্ধ হয়ে যায়, যেমন শত বছরের নামী পত্রিকা “নিউজ অব দ্য ওয়ার্ল্ড”-এর ক্ষেত্রে হয়েছে। অনেক সময় টেলিভিশনের পুরো টিমকে পদত্যাগ করতে হয়, যেমন বিবিসির ক্ষেত্রে হয়েছে। আমাদের দেশে সেটি হয় না।’‘অনশ্বর বঙ্গবন্ধু’ গ্রন্থ প্রকাশের জন্য তথ্য অধিদফতরকে ধন্যবাদ জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর ওপর যত লেখনী, কবিতা ও গ্রন্থ প্রকাশিত হবে, আমাদের ইতিহাস সমৃদ্ধ হবে, আমাদের নতুন প্রজন্ম সমৃদ্ধ হবে, তারা বঙ্গবন্ধুকে জানবে, বাংলাদেশের অভ্যূদয়ের ইতিহাস জানবে।
বাংলাদেশের গণমাধ্যম পুরোপুরি স্বাধীন: তথ্যমন্ত্রী
0
Share.