বাংলাদেশের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’, সমুদ্রবন্দরে সতর্কতা

0

ঢাকা অফিস: পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি ঘনীভূত হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। নিম্নচাপটি বাংলাদেশের দিকে ধেয়ে আসছে। এখন সেটি কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৬১৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। আগামী বুধবার (২৬ মে) সন্ধ্যায় ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের খুলনা উপকূলে আঘাত হানবে ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’।আবহাওয়া অধিদপ্তর রোববার (২৩ মে) দুপুর ২টায় বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া আকারে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিম্নচাপ কেন্দ্রের কাছে সাগর উত্তাল রয়েছে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড়টি আজ (২৩ মে) দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৭০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৬১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭১০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘনীভূত হয়ে গভীর নিম্নচাপ এবং পরবর্তীতে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।আগামী বুধবার (২৬ মে) সকাল থেকে ঘণ্টায় ৯০-১০০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া বইবে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া অফিস। তার সঙ্গে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হবে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায়। ঘূর্ণিঝড় স্থলভাগে আছড়ে পড়ার সময় তার গতিবেগ হবে ঘণ্টায় ১৫৫-১৬৫ কিলোমিটার।আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানায়, এই মুহূর্তে বঙ্গোপসাগরে নিজের শক্তি বৃদ্ধি করছে নিম্নচাপ। রোববার রাতেই তা গভীর নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার কথা। গভীর নিম্নচাপটি সোমবার ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে সন্ধ্যা থেকেই পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িষ্যা উপকূলে ঘণ্টায় ৪০-৫০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া বইতে পারে।

Share.