স্পোর্টস ডেস্ক: ভারতের মাটিতে প্রথম টি-টোয়েন্টি জিতে ইতিহাস গড়েছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে অবশ্য ঘুরে দাঁড়িয়েছে ভারত। রাজকোটে রোহিত শর্মার ঝড়ো হাফসেঞ্চুরিতে ৮ উইকেটে বাংলাদেশকে হারিয়েছে স্বাগতিকরা। এই জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে সমতা (১-১) ফিরিয়েছে রোহিত শর্মার দল। ফলে ১১ নভেম্বরের তৃতীয় ম্যাচটি হয়ে থাকলো সিরিজ নির্ধারক। বাংলাদেশকে ৬ উইকেটে ১৫৩ রানে আটকে দিয়ে জয়ের লক্ষ্যে উড়ন্ত সূচনা করে ভারত। চাহিদা মিটিয়ে রান তুলতে থাকেন দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও শিখর ধাওয়ান। পাওয়ার প্লের পুরো ফায়দা লুফে নেন রোহিত। শত রান পার করে ফেলা উদ্বোধনী এই জুটি ভাঙেন আমিনুল। ততক্ষণে জয়ের কাছে পৌঁছে যায় স্বাগতিকরা। ২ উইকেট হারিয়ে ভারত জয়ের বন্দরে পৌঁছায় ১৫.৪ ওভারে। দুই ওপেনারের মধ্যে রোহিতই সবচেয়ে বেশি ঝড়ো গতিতে ব্যাট করছেন। নিজের শততম ম্যাচটিকে স্মরণীয় করে রাখতে ঝড়ো হাফসেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন ভারতের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক। সেঞ্চুরির লক্ষ্যেই ছিলেন এক সময়। তাকে সেঞ্চুরি বঞ্চিত করেছেন আমিনুল। রোহিত ৪৩ বলে ফিরেছেন ৮৫ রানে। তার আগে আমিনুল বিদায় দিয়েছেন শিখর ধাওয়ানকে। দেখে শুনে খেলছিলেন তিনি। বেরিয়ে এসে তিনি বোল্ড হয়ে ফিরেছেন ৩১ রানে। তার আগে টস হেরে আশানুরূপ স্কোর পায়নি বাংলাদেশ। অথচ ব্যাটিং বান্ধব পিচ হিসেবে খ্যাতি আছে রাজকোটের সৌরাষ্ট্র স্টেডিয়ামের। শুরুটা দারুণ হলেও দ্রুত উইকেট পতনে শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেটে ১৫৩ রান করতে পেরেছে সফরকারীরা। বাংলাদেশ আজকেও দারুণ শুরু পায় মোহাম্মদ নাঈমের কল্যাণে। ভারতের বোলারদের ওপর চাপ সৃষ্টি করে খেলেছেন তরুণ এই ব্যাটসম্যান। সেই বিপজ্জনক নাঈমকে ফিরিয়ে ইনিংসের মাঝপথে স্বস্তি ফেরায় ভারত। তার বিদায়ের পর পর ছন্দপতন ঘটে বাংলাদেশের। সফরকারী দলের দুই ওপেনার লিটন দাস ও মোহাম্মদ নাঈমের আগ্রাসী সূচনায় পাওয়ার প্লেতে ভালো সংগ্রহ পেয়েছিল সফরকারীরা। দ্রুত ৬ উইকেট পড়লে শেষ দিকে মোসাদ্দেক-আমিনুল চাহিদা অনুযায়ী স্কোর বোর্ড সমৃদ্ধ করতে পারেননি। ভারতের পক্ষে সেরা বোলিং ছিল চাহালের। ২৮ রানে নিয়েছেন দুই উইকেট। প্রথম ম্যাচের পর খলনায়কে পরিণত হওয়া খলিল আহমেদ আজকেও ছিলেন খুব বেশি ব্যয়বহুল। ৪ ওভারে একটি উইকেট নিলেও দিয়েছেন ৪৪ রান। একটি করে আরও উইকেট নেন চাহার ও ওয়াশিংটন।
বাংলাদেশের হারে টি-টোয়েন্টি সিরিজে সমতা
0
Share.