ঢাকা অফিস: বাংলাদেশে দরিদ্র ও অতি দরিদ্রের হার কমেছে। মাত্র এক বছরের ব্যবধানে দরিদ্রের হার কমেছে ১ দশমিক ৩ শতাংশ এবং অতি দরিদ্রের হার কমেছে দশমিক ৮ শতাংশ। দেশে দরিদ্রের হার কমায় সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রধানমন্ত্রীর সামনে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) এসব তথ্য তুলে ধরেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। বিগত ২০১৮-১৯ অর্থবছরের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ১৫ শতাংশ এবং জাতীয় মাথাপিছু আয় ১ হাজার ৯০৯ মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। এসব কারণেই মূলত দারিদ্র্য ও হতদারিদ্র্য কমেছে। ২০ দশমিক ৫ বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো প্রতি বছর জিডিপি এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হারসহ কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক নির্দেশক প্রাক্কলন ও প্রকাশ করে আসছে। এ পর্যায়ে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জিডিপির চূড়ান্ত হিসাব সম্পন্ন হয়েছে। হাউজহোল্ড ইনকাম অ্যান্ড এক্সপেন্ডিচার সার্ভে (হেজ) ২০১৬ অনুযায়ী ২০১৭, ১০১৮, ও ২০১৯ সালের প্রাক্কলনের ক্ষেত্রে সবকিছু ব্যবহার করা হয়েছে। একনেক সভা শেষে গণমাধ্যমকে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘দেশে আগে দারিদ্র্যের হার ছিল ২১ দশমিক ৮ শতাংশ, এটা বর্তমানে নেমে এসেছে ২০ দশমিক ৫ শতাংশে। অর্থাৎ ১ দশমিক ৩ শতাংশ দারিদ্র্যের হার কমেছে।’ মন্ত্রী জানান, একই সময়ে অতি দরিদ্রের হারও কমেছে। আগে অতি দরিদ্রের হার ছিল ১১ দশমিক ৩ শতাংশ, এখন তাদের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ৫ শতাংশ। অর্থাৎ দশমিক ৮ শতাংশ অতি দারিদ্র্যের হার কমেছে। এম এ মান্নান বলেন, ‘দরিদ্র ও অতি দরিদ্রের হার কমায় আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। প্রধানমন্ত্রীও এতে অত্যন্ত আনন্দিত।’
বাংলাদেশে দরিদ্র ১.৩ এবং অতি দরিদ্র .৮ শতাংশ কমেছে
0
Share.