ঢাকা অফিস: আজ ২৫ জানুয়ারি বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি হচ্ছে। ১৯৭২ সালের এদিনে রাশিয়া বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়। তখন থেকেই দুদেশের সম্পর্কে বিশেষ গতি পেয়েছে। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশকে অকুন্ঠচিত্তে সমর্থন দেয় তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন। স্বাধীনতার পরেও চট্টগ্রাম বন্দরে ডুবে যাওয়া জাহাজ ও মাইন অপসারণে বিশেষ ভূমিকা রাখে রাশিয়া। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের বিপুল পরিমাণ মেধাবী শিক্ষার্থীকে রাশিয়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার সুযোগ দেওয়া হয়। একইসঙ্গে বাংলাদেশের সামরিক ও বিদ্যুৎ খাতে বিশেষ সহযোগিতা দেয় রাশিয়া। সোভিয়েত ইউনিয়ন বিলুপ্ত হওয়ার পরেও মস্কোর সঙ্গে ঢাকার কূটনৈতিক সম্পর্কে ভাটা পড়েনি। দুদেশের মধ্যে সহযোগিতার সম্পর্ক ধীরে ধীরে বেড়েছে। আগামী দিনেও দুদেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক বাড়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন দুদেশেরই শীর্ষ নেতারা। ঢাকা-মস্কো উভয় পক্ষই কূটনীতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপন করবে। এ লক্ষ্যে বেশ কিছু কর্মসূচিও নেওয়া হয়েছে। এদিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, রাশিয়া বাংলাদেশের বিশ্বস্ত বন্ধু। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে ও মুক্তিযুদ্ধের পরেও রাশিয়া বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছে। দুদেশের মধ্যে বন্ধন আগামী দিনে আরও বাড়বে বলেও প্রত্যাশা করেন তিনি। বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে বিদ্যমান পারস্পরিক সহযোগিতা নিয়ে সন্তোষও প্রকাশ করেছেন তিনি।
বাংলাদেশ ও রাশিয়ার সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি আজ
0
Share.