বাংলাদেশ থেকে দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধি: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন স্বাধীনতা-পরবর্তী দেশ গঠনে কল্যাণমূলক ও বৈষম্যহীন রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রবর্তনে এক মহানায়ক উল্লেখ করে সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল মালেক সরকার বলেছেন, আমরা এখন যা উপলব্ধি করছি, বঙ্গবন্ধু সেই সময়ে তা উপলব্ধি করেছিলেন। তাঁর একেকটি চিন্তাকে উপলব্ধি করলে মনে হয়, তখনকার সময়ে তিনি এখনকার সমস্যাগুলো দেখতে পেয়েছিলেন। প্রকৃতি ও পরিবেশ রক্ষা ছিল তার দূরদর্শী কর্মকান্ডের অন্যতম। সুস্থ ও সুন্দর পরিবেশের গুরুত্ব তিনি সেই সময় উপলব্ধি করেছিলেন। সদ্য স্বাধীন দেশে প্রাকৃতিক পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ, পরিবেশ সংরক্ষণ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে তিনি বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। বঙ্গবন্ধুই এদেশে সর্বস্তরে বৃক্ষরোপণের আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন। এখন বাংলাদেশে সামাজিক বনায়ন বেড়েই চলেছে। এটাই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুরই অবদান। ১৮ জুলাই শনিবার দিনাজপুর সরকারী কলেজ প্রাঙ্গণে মুজিব জন্ম শতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ সচেতন নাগরিক কমিটি দিনাজপুর জেলা জেলা শাখার উদ্যোগে বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচীর উদ্বোধনকালে বাংলাদেশ সচেতন নাগরিক কমিটি জেলা শাখার আহবায়ক সাবেক সংসদ সদস্য, সাবেক জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ও কাহারোল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আব্দুল মালেক সরকার এ কথা বলেন।বাংলাদেশ সচেতন নাগরিক কমিটির সদস্য ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সৈকত পাল-এর সমন্বয়ে বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচীতে উপস্থিত ছিলেন সদস্য সচিব রতন সিং, সদস্য আল মামুন বিপ্লব, আরমান সরকার, সাবেক পৌর কাউন্সিলর আবু হানিফ দিলন প্রমুখ।স্বাগত বক্তব্যে বাংলাদেশ সচেতন নাগরিক কমিটির সদস্য ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সৈকত পাল বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশবাসীকে গাছ লাগানোর যে আহবান জানিয়েছেন, আসুন আমরা সকলেই সেই আহবানে সাড়া দেই এবং নিজেদের প্রয়োজনে ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুন্দর পরিবেশ উপহার দেয়ার জন্য বেশী বেশী গাছ লাগাই। বৃক্ষ রোপণ করে দেশের পরিবেশ রক্ষার পাশাপাশি নিজেরাও লাভবান হই। সর্বশেষে তিনি বলেন, বাংলাদেশ-ভারত বন্ধুত্ব দীর্ঘজীবী হোক।
বাংলাদেশ সচেতন নাগরিক কমিটির বৃক্ষরোপণ কর্মসূচীর উদ্বোধন
0
Share.