বাংলাদেশ থেকে বাগেরহাট প্রতিনিধি: বাগেরহাটে পূর্ণিমার প্রভাবে বলেশ্বর, পশুর, ভৈরব, পানগুছি, চিত্রা, মধুমতি, দঢ়াটানাসহ প্রতিটি নদ-নদীর পানি অস্বাভাবিক বেড়েছে। এখানে বিষ্ণুপুর, বারইখালী, পঞ্চকরণ, হোগলাবুনিয়া, জিউধরা, তেলিগাতী, বহরবুনিয়া ইউনিয়নের নদী সংলগ্ন গ্রাম গুলি অনুরূপ প্লাবিত হবার খবর পাওয়া গেছে। অস্বাভাবিক জোয়ারে পানির চাপে ভৈরব নদের বাঁধ ভেঙ্গে সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের কুলিয়াদাইড় এলাকায় প্লাবিত হয়েছে। এখানে প্রায় সকল ঘরবাড়ি, মাছের ঘের, পুকুর, বাগান, পানবরজ, ফসলের ক্ষেত পানিতে থৈ থৈ করছে। জোয়ারের সময় তীব্র স্রোতে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করছে। বাড়ী-ঘরে পানি প্রবেশ করায় অনেক পরিবার স্বাভাবিক রান্না-বান্না করতে পারছেন না। হাঁস মুরগির, গবাদি পশু নিয়েও তারা পড়েছেন দুর্ভোগে। পানিবন্ধি গ্রামবাসী মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। বৃহস্পতিবার (১৯ মে) ভোগান্তির শিকার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দারা জানান, অস্বাভাবিক জোয়ারের পানির চাপে সকালে ভৈরব নদের বাঁধ ভেঙ্গে একাধিক স্থান দিয়ে পানি প্রবেশ করে। ফলে ঘরবাড়ি, বাগান, মাছের ঘের, পুকুর, পানবরজ, ফসলের খেত সব তলিয়ে যায়। এতে তাদের মারত্মক ক্ষতি হয়েছে। তাঁরা আক্ষেপ করে বলেন, একাধিকবার এখানে টেঁকসই বাঁধ নির্মানের দাবি করে জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কাছে আবেদন নিবেদন করলেও আজও কোন লাভ হয়নি। জনদুর্ভোগের বিষয় বিবেচনা করে বর্ষা মৌসুম আসার আগেই এখানে ওয়াপদা রাস্তার টেঁকসই বাঁধ নির্মাণ করার দাবি জনিয়েছেন বিষ্ণুপুর ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদ রানা বাবুল।