ঢাকা অফিস: করোনাকালে দেশের খাদ্য সংকট মোকাবিলার পাশাপাশি কৃষক বাঁচাতে দ্বিতীয় অগ্রাধিকার খাতে উঠে এসেছে কৃষির অবদান। নতুন অর্থবছরে এ খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ২৯ হাজার ৯৮৩ কোটি টাকা। এছাড়া কৃষির যান্ত্রিকীকরণ ও ভর্তুকিতেও বরাদ্দ বেড়েছে এ খাতে। সারের মূল্য অপরিবর্তিত রাখার পাশাপাশি প্রণোদনাও চলমান থাকবে কৃষিখাতে। বৈশ্বিক মহামারির মধ্যেও দেশ খাদ্য সংকটে পড়েনি। গেল তিন মাসে অনাহারে থাকেনি দেশের কোনো অঞ্চলের মানুষ। বৈশ্বিক এ দুরবস্থায় সীমিত আমদানি কার্যক্রমেও প্রয়োজন মিটিয়েছে এ কৃষিখাত।অর্থনীতির এ বড় দুঃসময়ে দেশের কৃষক ও কৃষি বাঁচিয়ে করোনা পরবর্তী পৃথিবীর সম্ভাব্য দুর্ভিক্ষ থেকে মানুষ রক্ষায় এবার বাজেটে দ্বিতীয় অগ্রাধিকার পেয়েছে কৃষিখাত।এতে এবার বরাদ্দ রাখা হয়েছে ২৯ হাজার ৯৮৩ কোটি টাকা। যেখানে ভর্তুকি থাকবে ৯ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।কৃষি উৎপাদনে কৃষককে সুবিধা দিতে নতুন অর্থবছরে উৎপাদন বাড়াতে কৃষি যান্ত্রিকীকরণে ৩ হাজার ১৯৮ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। করোনাকালীন কৃষিপণ্যের বাজারজাতকরণের জটিলতায় মাঠেই নষ্ট হয় কৃষকের শ্রম-ঘাম। এবারের বাজেটে কৃষিপণ্যের যথাযথ বাজারজাতকরণের জন্য ব্যবস্থা রাখা হয়েছে বলে সন্তুষ্টি জানান কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। রাসায়নিক সারের মূল্য অপরিবর্তিত রাখা, কৃষি প্রণোদনা কার্যক্রম অব্যাহতের পাশাপাশি নতুন এ বাজেটে কতটুকু উপকৃত হবে, দেশ ও দেশের কৃষি, সেই চ্যালেঞ্জ সামনে রেখেই প্রণীত এ বাজেট কার্যকর হবে বলে আশা গণমানুষের।
বাজেটে দ্বিতীয় অগ্রাধিকার পেল কৃষিখাত
0
Share.