বাতাসেও ভেসে বেড়ায় করোনাভাইরাস

0

ডেস্ক রিপোর্ট: বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া মহামারী করোনাভাইরাস ঘনবসতি স্থানে বা ভিড়ের জায়গায় বাতাসে ভেসে বেড়াতে পারে। এমনকি ভাইরাসটি বায়ু চলাচলের ঘাটতি রয়েছে, এমন ঘরেও থেকে যায় দীর্ঘসময়। নতুন এক গবেষণায় এমন প্রমাণ পেয়েছেন চীনের গবেষকরা। আর এতে কভিড ১৯ ভাইরাসটি অ্যারোসোল নামে পরিচিত বাতাসের সুক্ষ্ম দূষণকণায় ভর করে ভেসে বেড়াতে পারে এমন ধারণাকে আরও জোরদার করে। গবেষণাপত্রটি নেচার রিসার্চ সাময়িকীতে সোমবার প্রকাশিত হয়েছে। খবর ব্লুমবার্গের। গত ডিসেম্বরের শেষে চীনের উহান শহর থেকে সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে মহামারী করোনা। সেই উহানের দুটি হাসপাতালের বাতাসের নমুনা নিয়ে গবেষকরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখেছেন,  হাসপাতালের টয়লেটের বাতাসে করোনা ভাইরাসের জেনেটিক উপাদান ভেসে বেড়াচ্ছে। এছাড়া মেডিকেলটির রোগী এসে বসার কক্ষে এবং স্টাফদের করোনা প্রতিরোধী পিপিই খুলে রাখার কক্ষের বাতাসেও ভাইরাসটির উপস্থিতি দেখা গেছে। তবে বাতাসে উপস্থিত এমন অতিসুক্ষ্ম মাত্রার জীবাণুু মানুষকে আক্রান্ত করতে পারে কিনা, তা এখনও খতিয়ে দেখেননি গবেষকরা। আর করোনা বাতাসের মাধ্যমে সংক্রমিত হতে পারে কিনা, তাও পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যাপার। যদিও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এ ব্যাপারে আগের এক পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে চীনে ৭৫ হাজার করোনা রোগীর কেস স্টাডি করে দেখা গেছে, তার একটি বাতাসের মাধ্যমে সংক্রমিত নয়। তবে যেহেতু, বিশ্বব্যাপী ৩০ লাখের মতো মানুষ এ পর্যন্ত সংক্রমণের শিকার হয়েছে এবং মহামারীতে মারা গেছে দুই লাখের বেশি মানুষ, তাই বিজ্ঞানীরা নানা গবেষণার মাধ্যমে বোঝার চেষ্টা করছেন, ভাইরাসটি কত মাধ্যমে ছড়াতে পারে। মানুষ যখন হাচি দেয়, কাশি দেয় বা কফ-থুথু ফেলে, তখন দুই ধরনের জলকণা তৈরি হয়। একটু ভারি কণা মাটিতে পড়ে আর অতিসুক্ষ্ম কণা বাতাসে ভেসে বেড়ায়। এটি ভেসে বেড়াতে পারে কয়েক ঘণ্টাও। বাতাসে ভেসে বেড়ানো সেই অ্যারোসোল নিঃশ্বাসের সঙ্গে গ্রহণ করে সংক্রমিত হতে পারে অন্য কেউ।  উহান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কী ল্যানের নেতৃত্বে গবেষকরা কৃত্রিম অ্যারোসোল ছড়িয়ে দেখেন, রোগীর বদ্ধ ওয়ার্ডে, সুপারমার্কেটের ভিড়ে এবং আবাসিক ভবনের আটকা কক্ষে সুক্ষ্ম অ্যারোসোল ভেসে বেড়ায়। সবচেয়ে বেশি দেখা যায় টয়লেটে। এছাড়া বেশি মানুষ চলাচল করে এমন ঘরের কক্ষেও এটি বেশি দেখা যায়। তাই তারা পরামর্শ দিয়েছেন, করোনার বিস্তার রোধে ঘরে পর্যাপ্ত বায়ুু চলাচলের ব্যবস্থা রাখতে হবে। জনসমাগম কমাতে হবে। এছাড়া স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে সতর্কতার সঙ্গে।

Share.