ডেস্ক রিপোর্ট: ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের কট্টর সমালোচক নিজার বানাতকে (৪৩) আটকের পর নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।বানাতকে হত্যার প্রতিবাদে ফিলিস্তিনের শ্রমমন্ত্রী নাসরি আবু জাইশ রোববার পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। তিনি ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের জোট সরকারের শরিক দল বামপন্থি পিপলস পার্টির নেতা। বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ হেফাজতে মাহমুদ আব্বাস সরকারের কট্টর সমালোচক হিসেবে পরিচিত নিজারের মৃত্যু হয়। সেদিন থেকে টানা চার দিন ধরে এ অধিকারকর্মীর মৃত্যুর প্রতিবাদে রামাল্লায় বিক্ষোভ হচ্ছে।নিজারকে বিদায় জানাতে আসা ফিলিস্তিনিরা মসজিদে ‘গদি ছাড়ো আব্বাস, গদি ছাড়ো’, ‘মানুষ এ সরকারকে চায় না’ এমন স্লোগান দিতে থাকেন।বানাতকে বিদায় দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন তার কন্যা। যিনি উচ্চ বিদ্যালয়ের পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।বাবাকে বিদায় দেওয়ার সময় বানাতের কন্যা কান্নারত কণ্ঠে বলছিলেন— বাবা, আমায় ছেড়ে যেও না। আমি গ্র্যাজুয়েশন গাউন পরে আছি—এমনটি তোমাকে দেখাতে চেয়েছিলাম। এখন আমাকে কে খাইয়ে দেবে? কে আমাকে পড়াবে?বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টায় বানাতকে তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের পুলিশ নিজেদের হেফাজতে নেয়। গ্রেফতারের কিছুক্ষণ পরই তার মৃত্যুর খবর জানায় ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ।চিকিৎসক সামীর জারৌর প্রাথমিক ময়নাতদন্তের ওপর ভিত্তি করে বলেন, বানাতের শরীরজুড়ে আঘাতের চিহ্ন ছিল।বৃহস্পতিবার রামাল্লাভিত্তিক মানবাধিকার সম্পর্কিত স্বাধীন কমিশন এক সংবাদ সম্মেলনে ময়নাতদন্তের এ রিপোর্ট প্রকাশ করে।চিকিৎসক সামীর বলেন, বানাতের মাথার, ঘাড়ে ও কাঁধে আঘাত ছিল। পাশাপাশি পাঁজর ভেঙে গেছে। ফুসফুসে অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ হয়েছিল তার। এর অর্থ হলো— ভুক্তভোগী গুরুতর কোনো রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাননি।এদিকে ফিলিস্তিনের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শতেয়াহ বিষয়টি তদন্ত করে দেখার জন্য আইনমন্ত্রী মোহাম্মদ শালালদেহের নেতৃত্বে কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু কর্তৃপক্ষের তদন্ত কমিটির ওপর আস্থা রাখতে পারছেন না ফিলিস্তিনিরা।
বানাত হত্যার প্রতিবাদে ফিলিস্তিন শ্রমমন্ত্রী পদত্যাগ করছেন
0
Share.