বাড়িতে ধর্মীয় শিক্ষা নিষিদ্ধ করে ফ্রান্সে আইন

0

ডেস্ক রিপোর্ট: ‘চরমপন্থী ইসলামকে’ ঠেকাতে একটি আইনের খসড়া অনুমোদন দিয়েছে ফ্রান্সের মন্ত্রিসভা। দেশটিতে বেশ কয়েকটি চরমপন্থী হামলার পর ফ্রান্সের মন্ত্রিসভা এই আইনের অনুমোদন দিলো। ফ্রান্সে অসাম্প্রদায়িক মূল্যবোধ তুলে ধরতে, ঘরোয়া শিক্ষা ও ঘৃণামূলক বক্তব্যের ওপর রাশ টানতে দীর্ঘদিন ধরেই দাবি জানিয়ে আসছিলেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। এরই অংশ হিসেবে এই খসড়া আইন প্রণয়ন করেছে ফ্রান্স। তবে ফ্রান্স ও ফ্রান্সের বাইরে সমালোচকরা বলছেন, সরকার ধর্মকে টার্গেট করতে এই আইন প্রণয়ন করেছে। তবে ফরাসি প্রধানমন্ত্রী জ্যঁ ক্যাসটেক্স এটিকে ‘একটি ‍সুরক্ষামূলক আইন’ বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেন, এটা মুসলিমদের চরমপন্থার থাবা থেকে মুক্ত করবে। এই আইন কোনও ধর্ম বা নির্দিষ্ট করে ইসলাম ধর্মকে টার্গেট করে করা হয়নি বলেও জোর দিয়ে বলেছেন ক্যাসটেক্স। এদিকে খসড়া এই আইন নিয়ে বেশ সমালোচনায় পড়েছে ফ্রান্সের সরকার। ধর্মীয় স্বাধীনতা বিষয়ে মার্কিন দূত স্যাম ব্রাউনব্যাক বলেছেন, যখন আপনি কারও ওপর খড়গহস্ত হন, তখন পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। এমনকি ফ্রান্সেরই কিছু বামপন্থী রাজনীতিক এই আইন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা বলছেন, এই আইন মুসলিমদের কোণঠাসা করা হিসেবে দেখা হতে পারে। স্থানীয় লে মন্ডে সংবাদপত্র জানিয়েছে, এই আইনের ফলে অন্যান্য ধর্মীয় গ্রুপ ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠতে পারে। কারণ অনেক ধর্মীয় গ্রুপেই বাড়িতে ধর্মীয় শিক্ষার প্রচলন রয়েছে। বিবিসি বলছে, বেশ কিছুটা সময় ধরেই এই খসড়া আইনের ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করছিল ম্যাক্রোঁ সরকার। তবে স্কুল শিক্ষক স্যামুয়েল প্যাটির হত্যাকাণ্ডসহ সাম্প্রতিক বেশ কয়েকটি হামলার পর এই এজেন্ডার পালে হাওয়া লাগে।

Share.