বিএনপি ক্ষমতায় এলে বাংলাদেশের গণতন্ত্র ধ্বংস হয়ে যাবে : ওবায়দুল কাদের

0

বাংলাদেশ থেকে নওগাঁ প্রতিনিধি: আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী মো. ওবায়দুল কাদের এমপি বলেছেন, বিএনপি যদি ক্ষমতায় আসে তাহলে বাংলাদেশের উন্নয়ন ও গণতন্ত্র ধ্বংস হয়ে যাবে। যারা বিগত সময়ে লুটপাট করেছে তারা যদি আবার ক্ষমতায় আসে তাহলে আজ দেশের উন্নয়নের জন্য বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে মেগা প্রকল্পগুলো চলমান রয়েছে সেগুলো বন্ধ হয়ে যাবে। বাংলাদেশের এগিয়ে চলার পথ বন্ধ হয়ে লুটপাট করার ধারা শুরু হবে। তিনি আরো বলেন দেশের ঐতিহ্যবাহী অঞ্চল হচ্ছে উত্তরবঙ্গ। তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে নওগাঁ জেলা। ফকির আন্দোলন, সাওতাল বিদ্রোহসহ অনেক আন্দোলনের সূচনা হয়েছিলো এই উত্তরবঙ্গ থেকেই। তাই বর্তমান সরকারের সুদৃষ্টি এই অঞ্চলের ওপর আগেও ছিল, আগামীতেও থাকবে। শুধু বাংলাদেশের এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আওয়ামীলীগ সরকারের কোন বিকল্প নেই। তাই আগামী জাতীয় নির্বাচনে আবারোও উন্নয়নের প্রতিক নৌকায় ভোট দিয়ে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে নওগাঁর মানুষদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি । বৃহস্পতিবার দুপুরে নওগাঁ শহরের নওযোয়ান মাঠে দীর্ঘ সাত বছর তিন মাস পর নওগাঁ জেলা আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই কথাগুলো বলেন। জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুল মালেকের সভাপতিত্বে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভাপতিমন্ডলির সদস্য আব্দুর রহমান। এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপি, রাজশাহী সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা: রোকেয়া সুলতানা, কার্যকরী সদস্য মেরিনা জাহান কবিতা প্রমুখ । সম্মেলনের বিশেষ অতিথি তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি বলেন, বিএনপি’র বক্তব্য হল, খালি কলসি বেশি বাজার মত। তারা কখন কি বলে তারা নিজেরাই জানে না। মন্ত্রী বলেন, যারা জামিন নেয়ার জন্য পুরুষ হয়েও মহিলাদের বোরকা পড়ে হাইকোর্টে হাজির হয় তারা নাকি সরকার পতন ঘটাবে। আমরা গত কয়েক বছর আগে দেখেছি বিএনপি নেতারা বোরকা পড়ে হাইকোর্টে জামিন নিতে গিয়েছিল। এই লজ্জা বিএনপি কোথায় রাখবে বল্ওে মন্তব্য করেন তিনি। তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি বলে বেড়াচ্ছে নিরপেক্ষ সরকার না হলে তারা নির্বাচনে আসবে না। বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী আর কোন তত্তাবধায়ক সরকার হবে না। নির্বাচন সরকারের অধীনে হয় না। নির্বাচন হয় নির্বাচন কমিশনের অধীনে। নির্বাচন কমিশনার স্বাধীন। সুতরাং স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের অধীনেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপি নির্বাচনে আসবে কি আসবে না সেটি তাদের বিষয়। ড.হাছান মাহমুদ আরও বলেন, নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে। ২০১৪ সালের নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করে নাই। তারা অংশগ্রহন না করে ভেবেছিল ধাক্কা দিয়ে সরকার ফেলে দিবেন। বরং সরকার আরো শক্তিশালী হয়েছিল। ২০১৮ সালে বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চেয়েছিলেন। আমাদের সরকার অত্যন্ত সুন্দরভাবে দেশ পরিচালনা করছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। তাই আগামী নির্বাচনের ট্রেনে বিএনপি উঠবে কি উঠবে না সেটি বিএনপির সিদ্ধান্তের ব্যাপার। নির্বাচনের ট্রেন কারো জন্য অপেক্ষা করবে না। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের সরকার ১ কোটি মানুষকে ফ্যামিলি কার্ড দিয়েছে। টিসিবির পণ্যের জন্য শৃঙ্খলা ভাবে লাইনে স্বল্প মূল্যে পণ্য কিনলে এতে তো কারো অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। কিন্তু কয়েকটি পত্র-পত্রিকায় দেখলাম টিসিবির পণ্যের জন্য লাইন নিয়ে কথা বলে। তাদের কথায় মনে হয় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এক কোটি পরিবারকে স্বল্প মূল্যে পণ্য বিক্রি করার ব্যবস্থা করায় তারা সম্ভবত খুশি হয়নি। জনগণের মধ্যে স্বস্তি নেমে আসাতে বিএনপিসহ কিছু মানুষের অসস্থি বেড়ে গেছে। মন্ত্রী বলেন- এই টিসিবির মাধ্যমে এক কোটি পরিবারকে পণ্য বিক্রি শুরু করার পর বাজারে তেলের দাম কমেছে পেঁয়াজের দাম কমেছে অন্যান্য পণ্যের দামও কমেছে। এতে জনগণের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। বিএনপির মধ্যে অস্বস্তি বেড়ে গেছে।

 

Share.