ঢাকা অফিস: সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বিএনপি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিজয়ের জন্য নয়, নির্বাচন ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতেই অংশ নিয়েছে। তারা তাদের পরাজয় জেনেই কখনও ইভিএম কখনও সরকারের কর্মকাণ্ডসহ নানা বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। নির্বাচনে তাদের অংশগ্রহণ লোক দেখানো। তারা বিতর্কিত করতে চায়।’ রবিবার (১৯ জানুয়ারি) সচিবালয়ে সেতুমন্ত্রীর কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে তিনি এসব কথা বলেন। রোহিঙ্গাদের ফেরত দিতে যখন আমরা মিয়ানমারের সঙ্গে কথা বলছি তখন চীন সেখানে বিনিয়োগ করতে গেছে, এতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে কোনও জটিলতার সৃষ্টি হবে কিনা জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘চীনের সঙ্গে মিয়ানমারের বাইলেটারেল রিলেশন রয়েছে, সেই অনুযায়ী তাদের বিনিয়োগও রয়েছে। এখানে আমাদের কোনও স্বার্থহানি দেখছি না। যদি কোথাও আমাদের স্বার্থহানি ঘটে, অবশ্যই তা নিয়ে আমরা কথা বলবো। তবে চীনের প্রেসিডেন্ট কী কারণে মিয়ানমারে গেছেন এবং সেখানে কী করছেন, সেই বিষয়ে আমরা তত বেশি অবগত নই। আমরা আশাহত নই, আমরা আশা ছাড়ছিও না।’ এর আগে সচিবালয়ে থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎ শেষে ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি জানান, থাইল্যান্ডের অর্থায়নে আমাদের সঙ্গে দুটি প্রকল্প চলমান রয়েছে। একটি হলো এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, আরেকটি এমআরটি লেন সিক্স এর প্যাকেজ। তাদের সঙ্গে আমাদের চলমান প্রকল্পের ফান্ড নিয়ে তৈরি হওয়া জটিলতা কেটেছে কিনা জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এখন আর কোনও ঝামেলা নেই। তাদের একটি টিম আগামী সপ্তাহে আসবে। যদি কোনও সমস্যা থেকেও থাকে, তা সমাধান হয়ে যাবে। আমি থাইল্যান্ডকে বলেছি, সব প্যাকেজের কাজ যেন একসঙ্গে শেষ হয়।’ ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘রবিবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সরকারের অগ্রাধিকার প্রকল্পগুলো নিয়ে একটি বৈঠক ছিল। সেখানে আমি ছিলাম। বৈঠকে পদ্মা সেতু, বঙ্গবন্ধু টানেল, মাতারবাড়ী প্রকল্প, পায়রা, রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পের বিষয়ে কথা হয়েছে। এই মুহূর্তে এগুলোর কাজের গতি ভালো। পদ্মা সেতুর অগ্রগতি তো অবিশ্বাস্য। প্রতিমাসে তিনটি করে স্প্যান বসছে। আগামী বছরের জুলাই-আগস্টের মধ্যেই কাজ শেষ করবো। শেষ করতে এখন আর কোনও বাধা নেই।’
বিএনপি বিজয়ের জন্য নয়, নির্বাচন ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতেই অংশ নিয়েছে: কাদের
0
Share.