বিক্ষোভ দমন করতে সেনা মোতায়েনের হুমকি দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

0

ডেস্ক রিপোর্ট: পুলিশ হেফাজতে কৃষ্ণাঙ্গ আমেরিকান জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর জেরে ফুঁসে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্র। হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই বিক্ষোভ সহিংসতা চলছে দেশটিতে। প্রথমদিকে বিক্ষোভ শান্তিপূর্ণ থাকলেও এখন ধীরে ধীরে তা সহিংসতায় রূপ নিয়েছে। বিক্ষোভকারী এবং পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনতে যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি শহরে ইতোমধ্যে কারফিউ জারি করা হয়েছে। দেশটির জনসাধারণের বিক্ষোভে ভীত হয়ে পড়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাইতো বিশৃঙ্খলা এড়াতে সেনা মোতায়েনের হুমকি দিয়েছেন তিনি। ট্রাম্প জানান, শহর ও রাজ্যগুলোতে যদি বিক্ষোভকারীরা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়, তবে জনসাধারণের নিরাপত্তার জন্য সেনাবাহিনী পাঠানো হবে ও সমস্যার সমাধান করা হবে। হুঁশিয়ারি দিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘দাঙ্গা, লুটপাট, ভাঙচুর, হামলা এবং সম্পত্তির অযথা ধ্বংস বন্ধে হাজার হাজার ও ভারী সশস্ত্র সৈন্য, সামরিক কর্মী এবং আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তাদের পাঠাচ্ছি।’ গত ২৫ মে মিনেয়াপোলিসে পুলিশের হেফাজতে থাকার সময় মারা যান ৪৬ বছর বয়সী আফ্রিকান আমেরিকান নাগরিক ফ্লয়েড। ৪৪ বছর বয়সী শ্বেতাঙ্গ সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা ডেরেক চউভিনকে তার মৃত্যুর জন্য অভিযুক্ত করা হয়েছে। ওই সময়ে উপস্থিত থাকা আরও তিন পুলিশ কর্মকর্তাকেও বরখাস্ত করা হয়েছে। অনলাইনে ভাইরাল হওয়া ভিডিও ফুটেজে দেখা যায় যে, বেশ কয়েক মিনিট ধরে ফ্লয়েডের ঘাড়ের ওপর হাঁটু গেড়ে বসে রয়েছেন চউভিন। সেসময় ফ্লয়েড বারবারই বলছিলেন যে তিনি নিঃশ্বাস নিতে পারছেন না। ছবিটি ভাইরাল হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের অন্তত ৪০টি শহরে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। শিকাগোতে পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়ে বিক্ষোভকারীরা। জবাবে পুলিশও পাল্টা টিয়ার গ্যাস ছোড়ে। আটক করা হয় বেশ কয়েকজনকে। এরপর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের অন্তত ৪০টি শহরে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষোভের কারণে বড় বড় সব শহরেই কারফিউ জারি করা হয়। মঙ্গলবার বিকাল ৫টা পর্যন্ত নিউ ইয়র্ক সিটিতে লকডাউন দেয়া হয়। আর ওয়াশিংটন ডিসি লকডাউনের সময়সীমা আরও দুই রাত বাড়িয়ে দেয়। তবে পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে সহসাই এই আন্দোলন থামছে না।

Share.