রবিবার, নভেম্বর ২৪

বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত এটা ‘মরার ওপর খাঁড়ার ঘা’: মির্জা ফখরুল

0

ঢাকা অফিস: বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির সরকারি সিদ্ধান্তের কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে বিএনপি। দলটি বলছে, দ্রব্যমূল্যের ঊধ্বগতিতে যখন জনগণের নাভিশ্বাস উঠছে, তখন বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত ‘মরার ওপর খাঁড়ার ঘা’ এর মতো। এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না হলে জনগণই প্রতিরোধের ব্যবস্থা নেবে বলে হুঁশিয়ারিও দিয়েছে দলটি। সোমবার বিকালে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, আবারো বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে। এটা মরার ওপরে খাড়ার ঘা। একদিকে চাল-ডাল নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বেড়েই চলেছে। ইনফ্লেশন (মূল্যস্ফিতী) চরম পর্য়ায়ে যাচ্ছে। কিছুদিন আগেই বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে, গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে, পানির দাম বাড়ানো হয়েছে। এখন আরেক দফা বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে সাধারণ মানুষের জীবনকে তারা দুঃসহ করে তুলেছে। আমরা এই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। ফখরুল বলেন, সরকারকে পরিষ্কার ভাষায় বলতে চাই, এই দাম যদি না কমানো হয়, বিদ্যুতের দাম আগের জায়গা না নামায় তাহলে জনগণই তার প্রতিরোধের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। সোমবার দুপুরে এক ভার্চুয়াল সংবাদ ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন(বিইআরসি) ভর্তুকির ভার কমাতে পাইকারিতে বিদ্যুতের দাম ১৯ দশমিক ৯২ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে। সর্বশেষ ২০২০ সালে ফেব্রুয়ারি মাসে বিদ্যুতের পাইকারি দাম ইউনিট প্রতি ৫ টাকা ১৭ পয়সা নির্ধারণ করে দিয়েছিলো বিইআরসি। এটা এখন ৬ টাকা ২০ পয়সায় বাড়ানো হয়েছে। মির্জা ফখরুল সরকারের সমালোচনা করে বলেন, সব সময় তারা (সরকার) বলে, আমরা জনগণের স্বার্থে করি। আজকে তারা জনগণের বিপরীত অবস্থানে গিয়ে প্রতিপক্ষ হিসেবে গণশত্রুতে পরিণত হয়েছে এই অনির্বাচিত সরকার। দুর্নীতি এমন করেছে যে, প্রত্যেকটি খাতে, প্রত্যেকটি মন্ত্রণালয়ে, প্রত্যেকটি অধিদপ্তর এখন কোনো মতেই সামাল দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। এখন আইএমএফের ঋণ পাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে তারা জনগনের ওপরে অত্যাচার-নির্যাতন করা শুরু করেছে। আজকে যদি দুর্নীতি তারা(সরকার) কমাতে পারতেন, আজকে যদি জনগনের টাকা এভাবে পাচার না করতেন তাহলে এই সংকট মোকাবিলা করা জনগণের জন্য অনেক সহজ হতো। গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম, দুই সদস্য সচিব আমিনুল হক, রফিকুল আলম মজনু, বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন, সদস্য সচিব শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি প্রমুখ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

Share.