ডেস্ক রিপোর্ট: ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের বিচ্ছিন্নতাবাদী বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রিত দুটি অঞ্চল দোনেস্ক ও লুহানস্ককে স্বীধান রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিয়েছে রাশিয়া। এই দুটি অঞ্চলে রাশিয়ার সেনাদের ‘শান্তিরক্ষা কার্যক্রম’ চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ২০১৪ সাল বিদ্রোহীরা রুশ সমর্থিত বিদ্রোহীরা ইউক্রেইনের সরকারি বাহিনীর বিরুদ্ধে সশস্ত্র লড়াই করছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি অভিযোগ করেছেন, রাশিয়া ইচ্ছাকৃতভাবে ইউক্রেইনের সার্বভৌমত্ব লংঘন করেছে। ইউক্রেনের পশ্চিমা সমর্থিত সামরিক জোট-ন্যাটোতে যোগ দেওয়াকে কেন্দ্র করে রাশিয়ার সঙ্গে উত্তেজনা তৈরি হয়। রাশিয়ার দাবি, ইউক্রেন ন্যাটোতে যোগ দিলে ওই অঞ্চলে ন্যাটোর আধিপত্য বৃদ্ধি পাবে। যা ইউরোপের পূর্বাঞ্চলে রাশিয়ার আঞ্চলিক নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলবে। রাশিয়া সীমান্তে প্রায় দুই লাখ সেনা মোতায়েন করে ইউক্রেন ও এর পশ্চিমা মিত্রদের উপর চাপ সৃষ্টি করতে চেয়েছিল। রাশিয়ার দাবি ছিল, ভবিষ্যতে ইউক্রেন কখনো ন্যাটোতে যোগদান করবে না, তার নিশ্চয়তা দিতে হবে। তবে, পশ্চিমা জোট এ নিশ্চয়তা দেয়নি। গত শুক্রবার থেকে দোনেস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চলে রুশ সমর্থিত বিদ্রোহীরা ইউক্রেনের ভূখণ্ডে গোলাবর্ষণ করতে থাকে। গোলাবর্ষণে ইউক্রেনের এক সেনা নিহত ও বহু ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়। ইউক্রেনের দাবি ছিল, রাশিয়ার ইন্ধনে বিদ্রোহীরা গোলাবর্ষণ করছে। যদি আমরা পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তুলি, তাহলে রাশিয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘনের দায়ে আমাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়বে। তারা সে ফাঁদে পা দিবে না বলেও জানায়। অবশেষে, আনুষ্ঠানিকভাবে ওই দুটি অঞ্চলকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বৃীকৃতি দিয়েছে রাশিয়া।
বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রিত দুটি অঞ্চলকে স্বীধান রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিয়েছে রাশিয়া
0
Share.