ডেস্ক রিপোর্ট: প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে ইতোমধ্যে বিপর্যস্ত যুক্তরাষ্ট্র। জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুসারে এ পর্যন্ত দেশটিরে করোনা আক্রান্ত ২১ লাখ ১৬ হাজার ছাড়িয়েছে, মৃত্যু ১ লাখ ১৬ হাজার ৮২৫ জন। তবে বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যু কমলেও বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করে জানিয়েছেন, দেশটিতে ফের করোনায় দ্বিতীয় ঢেউ আসতে পারে। মার্কিন বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে জানিয়েছে, দেশজুড়ে বিক্ষোভ ও অর্থনীতির জন্য পুনরায় সবকিছু খুলে দেয়াতে করোনার ফের পুনরুত্থানের সুযোগের পথ তৈরি হয়েছে। এদিকে টেক্সাস, অ্যারিজোনাসহ দেশটির অর্ধেক ডজন রাজ্যের হাসপাতালগুলোতে ক্রমবর্ধমান করোনা রোগী দিয়ে ভর্তি। বিবিসির এক অনলাইন বার্তায় বলা হয়েছে, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এলে ব্যাপক অর্থনৈতিক ক্ষতি হতে পারে, এই আশঙ্কায় গত বৃহস্পতিবার বিশ্বব্যাপী শেয়ারবাজারে ধস নেমেছে। সম্প্রতি ডজন খানেক রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়াকে বেশি পরিমাণে পরীক্ষা করার কারণকে প্রতিফলন হিসেবে ধরা হচ্ছে। তবে অনেক রাজ্যের হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। সেইসঙ্গে হাসপাতালগুলোতে আইসিইউ’র স্বল্পতা দেখা দিয়েছে। আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত তিন দিন ধরে টেক্সাসের হাসপাতালগুলোতে রেকর্ড পরিমাণে করোনা রোগী ভর্তি হয়েছে, এবং দেশটির নর্থ ক্যারোলিনা রাজ্যে আর মাত্র ১৩ শতাংশ আইসিইউ অবশিষ্ট রয়েছে। দেশটির শীর্ষ সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ অ্যান্থনি ফাউসি সিবিসি’কে বলেন, বিধিনিষেধ তুলে নেয়ায় বেশি সংক্রমণ অনিবার্য। দেশজুড়ে আক্রান্ত কমছে কিন্তু বিভিন্ন রাজ্যে নতুন করে আক্রান্ত বেড়ে যাওয়া ‘উদ্বেগের’ বিষয়। দেশটির স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জোর দিয়ে বলেছেন, প্রকাশ্যে মাস্ক ব্যবহার ও সামাজিক দূরত্ব সংক্রমণ কমায় কিন্তু অনেক রাজ্যেই মাস্ক পরিধানের বিষয়টি উপেক্ষিত।
বিশেষজ্ঞদের মতে যুক্তরাষ্ট্রে ফের করোনার বিপর্যয় আসতে পারে
0
Share.