ডেস্ক রিপোর্ট: মহামারি করোনার থাবা থামছেই না। প্রাণঘাতী এইভাইরাসটি এখনো তাণ্ডব চালাচ্ছে বিশ্বজুড়ে। গত একদিনে সারাবিশ্বে অদৃশ্য ভাইরাসটি কেড়ে নিয়েছে আরও সাড়ে ১৪ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণ। আক্রান্তের তালিকাতেও যুক্ত হয়েছে আটলাখেরও বেশি মানুষের নাম।গত একদিনে করোনায় নতুন শনাক্ত হয়েছে ৮ লাখ ৪০ হাজার ৯৭১ জনের দেহে এবং মৃত্যু হয়েছে ১৪ হাজার ২৮১জনের। করোনাভাইরাস মহামারির শুরু থেকে বিশ্বের সবদেশ ও অঞ্চলের করোনা সংক্রমণের হালনাগাদ তথ্য সংরক্ষণ করছে ওয়ার্ল্ডোমিটারস নামে একটি ওয়েবসাইট। তাদের সর্বশেষ তথ্য বলছে, শনিবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৮ কোটি ৯৩ লাখ ৩৭ হাজার ৭৬৫ জন, মোট মারা গেছেন ১৯ লাখ ২০ হাজার ৯১৪ জন। বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ২ কোটি ২৪ লাখ ৫৬ হাজার ৯০২। দেশটিতে করোনায় মারা গেছেন ৩ লাখ ৭৮হাজার ১৪৭জন। ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় ভারতের অবস্থান দ্বিতীয়। ভারতে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ৪ লাখ ৩২ হাজার ৫২৬জন। দেশটিতে করোনায় মারা গেছেন ১ লাখ ৫০ হাজার ৮৩৫জন। ব্রাজিল আছে তৃতীয় অবস্থানে। ব্রাজিলে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৮০ লাখ ১৫ হাজার ৯২০জন। দেশটিতে করোনায় মারা গেছেন ২ লাখ ১ হাজার ৫৪২ জন।তালিকায় রাশিয়ার অবস্থান চতুর্থ। ফ্রান্স পঞ্চম। যুক্তরাজ্য ষষ্ঠ। তুরস্ক সপ্তম। ইতালি অষ্টম। স্পেন নবম। জার্মানি দশম। তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ২৭তম। গতবছরের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। চীনে করোনায় প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যু হয় চলতি বছরের ৯ জানুয়ারি। তবে তার ঘোষণা আসে ১১ জানুয়ারি। চলতি বছরের ১৩ জানুয়ারি চীনের বাইরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় থাইল্যান্ডে। পরে বিভিন্ন দেশে করোনা ছড়িয়ে পড়ে।করোনার প্রাদুর্ভাবের পরিপ্রেক্ষিতে ৩০ জানুয়ারি বৈশ্বিক স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।গত ২ ফেব্রুয়ারি চীনের বাইরে করোনায় প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ফিলিপাইনে।এরই মধ্যে কয়েকটি কোম্পানির টিকার অনুমোদন দিয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি দেশ টিকা প্রয়োগ শুরু করেছে। বাংলাদেশেও দ্রুত টিকা আনা হবে বলে জানিয়েছে সরকার।
বিশ্বজুড়ে করোনায় আরও ১৪ হাজারের বেশি প্রাণহানি
0
Share.