বিশ্বজুড়ে করোনায় মৃত্যু বেড়েছে আরও ৮ হাজার

0

ডেস্ক রিপোর্ট:  বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও প্রাণহানির সংখ্যা কোনোভাবেই কমছে না। সবশেষ গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে ব্রাজিলে। অন্যদিকে দৈনিক মৃত্যুতে ভারত রয়েছে দ্বিতীয় অবস্থানে। এতে বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১৭ কোটি ৯৯ লাখে। এ সময় মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৩৮ লাখ ৯৭ হাজার।করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটার থেকে বুধবার (২৩ জুন) সকালে এই তথ্য জানা গেছে।গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৮ হাজার ১৮১ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যু বেড়েছে প্রায় ২ হাজার ৪০০। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৩৮ লাখ ৯৭ হাজার ৩৫৪ জনে।এছাড়া একই সময়ের মধ্যে করোনাভাইরাসে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লাখ ৬৫ হাজার ১৮৩ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৮৯ হাজার। এতে মহামারির শুরু থেকে ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ কোটি ৯৯ লাখ ৯ হাজার ৮৪৪ জনে।করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩ কোটি ৪৪ লাখ ৩৩ হাজার ৬৯৬ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ৬ লাখ ১৭ হাজার ৮৬৪ জন মারা গেছেন। লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২ হাজার ৮০ জন। দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগী এক কোটি ৮০ লাখ ৫৬ হাজার ৬৩৯ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৫ লাখ ৪ হাজার ৮৯৭ জনের।করোনায় আক্রান্তের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। তবে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যার তালিকায় দেশটির অবস্থান তৃতীয়। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ হাজার ১২৯ জন। দেশটিতে মোট আক্রান্ত ৩ কোটি ২৭ হাজার ৮৫০ জন এবং মারা গেছেন ৩ লাখ ৯০ হাজার ৬৯১ জন।দেশে করোনাভাইরাসের আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। এখন পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৩ হাজার ৭০২ জনে। এছাড়াও এখন পর্যন্ত দেশে মোট শনাক্তের সংখ্যা ৮ লাখ ৬১ হাজার ১৫০ জন।প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীন থেকে সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী ছড়িয়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। গত বছরের ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

Share.