বিশ্বে কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা ৫ কোটি ৪৩ লাখ ছাড়াল

0

ডেস্ক রিপোর্ট: বিশ্বখ্যাত পরিসংখ্যান ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, আজ রোববার সকাল পর্যন্ত বিশ্বে মহামারি নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচ কোটি ৪৩ লাখ ২৮ হাজার ৬৬৮ জনে। এ ছাড়া কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ১৩ লাখ ১৮ হাজার ২৭৬ জনে দাঁড়িয়েছে। এদিন সকাল পর্যন্ত সারা বিশ্বে করোনাভাইরাস থেকে সুস্থ হয়েছে তিন কোটি ৭৮ লাখ ৬৮ হাজার ৭৭৩ জন। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারত এবং দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিল। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যার দিক দিয়ে বিশ্বে প্রথমে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। লাফিয়ে বাড়ছে সেখানে সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা। দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত শনাক্ত এক কোটি ১২ লাখ ২৬ হাজার ৩৮ জনে দাঁড়িয়েছে এবং দুই লাখ ৫১ হাজার ২৫৬ জন মারা গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের পর করোনায় মৃতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি রয়েছে ব্রাজিল ও ভারতে। বিশ্বের দ্বিতীয় জনবহুল দেশ ভারতে মোট আক্রান্ত ৮৮ লাখ ১৪ হাজারেরও বেশি মানুষ এবং মারা গেছে এক লাখ ২৯ হাজার ৬৭৪ জন। মৃতের সংখ্যায় দ্বিতীয় সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত দেশ ব্রাজিল। দেশটিতে মোট কোভিড-১৯ শনাক্ত রোগী ৫৮ লাখ ৪৮ হাজার ৯৫৯ জন এবং মৃত্যু হয়েছে এক লাখ ৬৫ হাজার ৬৭৩ জনের।

বাংলাদেশ পরিস্থিতি: নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশে গতকাল শনিবার পর্যন্ত আরো ১৪ জনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ছয় হাজার ১৭৩ জনে। এ ছাড়া নতুন করে এক হাজার ৫৩১ জনের শরীরে কোভিড-১৯ ভাইরাস শনাক্ত হওয়ায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে চার লাখ ৩০ হাজার ৪৯৬ জনে। গতকাল শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনা সংক্রান্ত নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, দেশের সরকারি ও বেসরকারি ১১৫টি ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১১ হাজার ৫৭৭টি এবং আগের নমুনাসহ পরীক্ষা করা হয়েছে ১১ হাজার ৭৯৫টি। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ২৫ লাখ ২৭ হাজার ১৩৪টি। এদিকে, দেশে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছে আরো এক হাজার ৪৬২ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে তিন লাখ ৪৭ হাজার ৮৪৯ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮০ দশমিক ৮০ শতাংশ। গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম কোভিড-১৯ রোগী শনাক্তের পর গত ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যুর কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

Share.