মঙ্গলবার, ডিসেম্বর ২৪

বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে কুয়াকাটায় পর্যটকের ভীড়

0

বাংলাদেশ থেকে পটুয়াখালী প্রতিনিধি: বিশ্ব ভালবাসা দিবস। এই ভালবাসা দিবসের রং লেগেছে বিশ্বের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র সাগরকন্যা কুয়াকাটায়। ভালবাসার রং ও সমুদ্রের উত্তাল টেউয়ের ছন্দে উচ্ছ্বাসে মেতে উঠছে পর্যটকসহ তরুণ-তরুণী। আর এই সুযোগকে কাজে লাগাতে তারকামানের হোটেল মোটেলগুলোকে সাজিয়েছে ভালবাসার রঙে। পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা বলছেন, বিশ্ব ভালোবাসা দিবস এবং একুশে ফেব্রুয়ারি সবকিছু মিলে জমজমাট পর্যটন কেন্দ্র সমুদ্র কন্যা কুয়াকাটায় পর্যটকের উপচে পড়া ভীড় হয়েছে। কুয়াকাটায় সবক’টি আবাসিক হোটেল মোটেল ইতিমধ্যে বুকিং হয়ে গেছে। কুয়াকাটায় আসা এসব ভ্রমণ পিপাসুদের কথা চিন্তা করে তারকা মানের হোটেলগুলোতে দেয়া হয়েছে বাড়তি সুযোগ-সুবিধা। ভালবাসা দিবস ও আগামী সপ্তাহে একুশে ফেব্রুয়ারির ছুটিতে লাখ পর্যটকের আগমন ঘটবে বলে আশা করছেন তারা। কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট বোট মালিক সমবায় সমিতির, সভাপতি জানি আলমগীর বলেন, ‘বিশ্ব ভালবাসা দিবস এবং একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে ইতোমধ্যেই সমুদ্রের ভিতরে যে স্পট গুলো রয়েছে নৌ-রুটে চলাচলকারী ট্যুরিস্ট বোটের টিকিট ফোনের মাধ্যমে বুকিং হচ্ছে এবং অন্য যেসব বোর্ড রয়েছে ইতিমধ্যেই অনেকগুলো বুকিং হয়েছে। কুয়াকাটার স্থান ছাড়িয়ে সমুদ্রের ভিতর ৩০ কিলোমিটার দূরে চর বিজয়ে ভিড় জমাচ্ছে তরুণ-তরণীরা’। কুয়াকাটা ট্যুরিজম ম্যানেজমেন্ট এসোসিয়েশন (কুটুম) এর, সাধারন সম্পাদক সাংবাদিক হোসাইন আমির বলেন, শুধু বিশ্ব ভালবাসা দিবস নয়, ফাল্গুন, সরকারি ছুটি ও ২১ শে ফেব্রুয়ারি বন্ধ উপলক্ষে এখন থেকে পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড় লেগে আছে। ইতিমধ্যে ভালবাসা দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন হোটেল তাদের নিজস্ব কিছু কার্যক্রম শুরু করছে। আশা করা হচ্ছে সব কিছু ঠিকটাক থাকলে এ মাসে পর্যটন ব্যবসায়ীরা ভাল ব্যবসা করতে পারবে। এতে করে পর্যটন শিল্প বিকাশে অনেকটা সহায়ক হবে’। অপরদিকে বিশ্ব ভালবাসা দিবস উপলক্ষে কুয়াকাটার বিভিন্ন পর্যটন স্পট গুলোতে মহিপুর থানা পুলিশ ও ট্যুরিস্ট পুলিশ কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা জোরদার করেছে। হোটেল মোটেল অউনার এসোসিয়েশন সাধারণত সম্পাদক মোঃ মোতালেব শরীফ জানান, প্রায় হোটেলে রুম বুকিং রয়েছে আরো ফোনে বুক হচ্ছে। ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা রিজিয়নের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাহাত গাওহারি জানান, ‘পর্যটকদের আগমন ও স্থানীয়দের পদচারনা নিরাপদ করতে পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকধারী পুলিশ আইন শৃংখলা রক্ষায় নিয়োজিত রয়েছে। তাছাড়া হোটেল-মোটেলের নিরাপত্তা রক্ষার জন্য আলাদা টিম রাখা হয়েছে। পাশাপাশি সৈকতজুড়ে বাড়তি নিরাপত্তাও জোরদার করা হয়েছে’।

Share.