ডেস্ক রিপোর্ট: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) নেতৃত্বে কোভিড-১৯–এর ভ্যাকসিন প্রস্তুত ও সমবণ্টনের আন্তর্জাতিক উদ্যোগে থাকবে না যুক্তরাষ্ট্র। ডব্লিইএইচওকে দুর্নীতিগ্রস্ত আখ্যা দিয়ে ট্রাম্প প্রশাসন এ উদ্যোগে না থাকার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। এদিকে মার্কিন শীর্ষ চিকিৎসা বিজ্ঞানী অ্যান্থনি ফসি মনে করেন, ইতিবাচক ফল পেলে প্রত্যাশার চেয়ে আগেই করোনার টিকা মিলবে।বৈশ্বিক মহামারি নভেল করোনাভাইরাসের টিকা তৈরির আশায় আছে পুরো বিশ্ব। এ কাজকে সম্মিলিতভাবে এগিয়ে নিতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এরই মধ্যে টিকা অনুসন্ধান ও বিতরণে গঠন করা হয়েছে আন্তর্জাতিক জোট। কিন্তু আবারো ‘একলা চলো’ নীতি অনুসরণ করে এ জোটে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্বের অন্যতম পরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্র। এ ক্ষেত্রে মহৎ এ উদ্যোগের চেয়ে চীনের সঙ্গে বিরোধ এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওপর অনাস্থার বিষয়টি মূখ্য হয়েছে ট্রাম্প প্রশাসনের কাছে। সংবাদমাধ্যম সিএনএন এ খবর জানিয়েছে।ট্রাম্প প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তে সবার জন্য টিকা নিশ্চিতকরণে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নেতৃত্বে গৃহীত ‘কোভ্যাক্স’ উদ্যোগে বড় ধাক্কা লাগতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা। তবে প্রথিতযশা মার্কিন চিকিৎসা বিজ্ঞানী ও যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ অ্যান্থনি ফসি মনে করেন, কোভিড-১৯–এর টিকার চলমান ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালগুলো যদি ব্যাপক কোনো ইতিবাচক ফল নিয়ে আসে, তবে প্রত্যাশিত সময়ের আগেই টিকা পাওয়া সম্ভব।অ্যান্থনি ফসি বলেন, ‘দুটি টিকার চলমান ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে অংশ নিয়েছেন ৩০ হাজার স্বেচ্ছাসেবী। এ বছরের শেষ নাগাদ ট্রায়াল শেষ হওয়ার কথা। অন্তর্বর্তী ফলাফল যদি ব্যাপকভাবে ইতিবাচক বা নেতিবাচক হয়, তবে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই স্বাধীন বোর্ড ট্রায়াল প্রক্রিয়ায় সমাপ্তি টানতে পারে।’এদিকে, করোনার টিকা তৈরির প্রচেষ্টায় যখন এই বিভক্তি, তখন অনেক দেশই কোভিড-১৯-এর থাবায় বিপর্যস্ত। শুধু প্রাণহানি নয়, অর্থনীতির মেরুদণ্ড ভেঙে চুরমার করে দিচ্ছে করোনাভাইরাস।করোনার কারণে তিন দশকের মধ্যে প্রথমবার অর্থনৈতিক মন্দার মুখে পড়েছে অস্ট্রেলিয়া। আগের তিন মাসের চেয়ে এপ্রিল-জুন পর্যন্ত দেশটিতে জিডিপি বা মোট দেশজ উৎপাদন কমেছে সাত শতাংশ। এ ছাড়া বিশ্বের সর্ববৃহৎ অর্থনীতি যুক্তরাষ্ট্রে এপ্রিল থেকে জুনে জিডিপি ৯ দশমিক ৫ শতাংশ কমেছে। যুক্তরাজ্যে তা কমেছে ২০ দশমিক ৪ শতাংশ, ফ্রান্সে ১৩ দশমিক ৮ শতাংশ এবং জাপানে ৭ দশমিক ৬ শতাংশ। বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ ভারতের সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, করোনাভাইরাস মোকাবিলায় লকডাউন শুরুর পর তিন মাসে জিডিপি সংকুচিত হয়েছে প্রায় ২৪ শতাংশ, যা দেশটির ইতিহাসে নজিরবিহীন। উৎপাদন, নির্মাণ, হোটেল, পরিবহন, আবাসনসহ ভারতের অর্থনীতির প্রতিটি ক্ষেত্রেই দেখা দিচ্ছে এই সংকোচন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার করোনা ভ্যাকসিন উদ্যোগে থাকছে না যুক্তরাষ্ট্র
0
Share.