বীভৎস দৃশ্য, নৃশংস জিনিস হয়েছে এখানে: ড. মুহাম্মদ ইউনূস

0

ঢাকা অফিস: ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার দেশে আইয়ামে জাহেলিয়াত প্রতিষ্ঠা করেছিল বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) আয়নাঘর ঘুরে দেখে প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘বীভৎস দৃশ্য। নৃশংস জিনিস হয়েছে এখানে। যতটাই শুনি মনে হয়, অবিশ্বাস্য, এটা কি আমাদেরই জগৎ, আমাদের সমাজ? যাঁরা নিগৃহীত হয়েছেন, তাঁরাও আমাদের সমাজেই আছেন। তাঁদের মুখ থেকে শুনলাম। কী হয়েছে, কোনো ব্যাখ্যা নেই।’ প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আইয়ামে জাহেলিয়াত বলে একটা কথা আছে না, গত সরকার আইয়ামে জাহেলিয়াত প্রতিষ্ঠা করে গেছে। এটা (আয়নাঘর) তার একটি নমুনা।’ অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ভুক্তভোগীদের বিনা কারণে, বিনা দোষে উঠিয়ে আনা হতো। সন্ত্রাসী, জঙ্গি বলে এখানে ঢুকিয়ে রাখা হতো। তিনি বলেন, ‘এই রকম টর্চার সেল (নির্যাতনকেন্দ্র) সারা দেশে জুড়ে আছে। ধারণা ছিল এখানে কয়েকটা আছে। এখন শুনছি বিভিন্ন ভার্সনে (সংস্করণে) সারা দেশ জুড়ে আছে। সংখ্যাও নিরূপণ করা যায়নি।’ মানুষকে সামান্যতম মানবাধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে উল্লেখ করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘একজন বলছিলেন খুপরির মধ্যে রাখা হয়েছে। এর থেকে তো মুরগির খাঁচাও বড় হয়। বছরের পর বছর এভাবে রাখা হয়েছে।’ সমাজকে এসব থেকে বের করে না আনা গেলে সমাজ টিকবে না বলে উল্লেখ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি নতুন সমাজ গড়া, অপরাধীদের বিচার করা, প্রমাণ রক্ষার ওপর জোর দেন। এর আগে প্রধান উপদেষ্টা দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়ে আয়নাঘর পরিদর্শনে যান। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন— আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, উপদেষ্টা মাহফুজ আলম এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। গত বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার আয়নাঘর পরিদর্শনের সিদ্ধান্ত হয় বলে জানিয়েছিল প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।

Share.