বিনোদন ডেস্ক: বাংলা চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় জুটি ফেরদৌস আহমেদ ও পূর্ণিমা। জুটি বেঁধে তারা বেশি কয়েকটি সিনেমা করেছেন। সেখানে যতটা না জনপ্রিয়তা পেয়েছেন, তার চেয়ে বেশি পেয়েছেন দুজন একসঙ্গে উপস্থাপনা করে। ২০১৬ সালে ‘মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার’-এর অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করে ব্যাপক সাড়া ফেলেন তারা। এরপর থেকে এ কাজে তাদের চাহিদা একেবারে তুঙ্গে। গত কয়েক বছরে একাধিক অনুষ্ঠান উপস্থাপনায় দেখা গেছে ফেরদৌস ও পূর্ণিমাকে। সেই ধারাবাহিকতায় আবারও চমক নিয়ে হাজির হচ্ছেন জনপ্রিয় এই জুটি। তাদের এবারের চমকের নাম ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০২০’। বুধবার (২৩ মার্চ) আগারগাঁওয়ে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বসবে এই পুরস্কারের আসর। সেটি উপস্থাপনার দায়িত্বে আছেন ফেরদৌস এবং পূর্ণিমা। তবে ওই আসরে এ জুটি কী চমক দেখাবেন সেটা অবশ্য পরিস্কার করেননি। ফেরদৌসের কথায়, ‘আমরা বর্তমানে ভালোভাবে রিহার্সাল করছি। পরিকল্পনা যেভাবে দেখছি, এবার চমক থাকবে। সেটা দেখার জন্য অপেক্ষা করতে হবে। অনুষ্ঠানের দিন সবাই তা দেখতে পাবেন। এবারের অনুষ্ঠান একেবারে ভিন্নভাবে পরিকল্পনা করা হয়েছে। আমার বিশ্বাস, সবকিছু ঠিক থাকলে আমন্ত্রিত অতিথিরা অসাধারণ একটি অনুষ্ঠান উপভোগ করবেন।’ গত ১৫ ফেব্রুয়ারি তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ঘোষণা করে ২০২০ সালের জন্য ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার’ প্রাপ্তদের তালিকা। সেখান থেকে জানা যায়, এবার ২৭টি শাখায় মোট ২৮ জন শিল্পী ও কলাকুশলীকে জাতীয় পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে নির্মাতা ও অভিনেতা গাজী রাকায়েতের ‘গোর’ সিনেমাটিই জিতে নিয়েছে সর্বোচ্চ ১১টি পুরস্কার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আটটি পুরস্কার জিতেছে চয়নিকা চৌধুরী পরিচালিত ‘বিশ্বসুন্দরী’। এ বছর সেরা অভিনেতার পুরস্কার পাচ্ছেন ‘বিশ্বসুন্দরী’ ছবির নায়ক সিয়াম আহমেদ। সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পাবেন ‘গোর’ ছবির রোজালিন দীপান্বিতা মার্টিন। সেরা খল অভিনেতা মিশা সওদাগর। সেরা গায়কের পুরস্কার উঠবে ইমরান মাহমুদুলের হাতে। অন্যদিকে, সেরা গায়িকার পুরস্কার পাচ্ছেন যৌথভাবে কোনাল ও কনা। সেরা পরিচালক গাজী রাকায়েত। এছাড়া জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে এবার আজীবন সম্মাননা পাচ্ছেন আনোয়ারা বেগম ও রাইসুল ইসলাম আসাদ। বুধবার জমকালো এ আয়োজনে সকলের হাতে তুলে দেওয়া হবে পুরস্কার। তারই ফাঁকে ফাঁকে থাকবে চলচ্চিত্রের একঝাঁক তারকার নজরকাড়া উপস্থাপনা। সঙ্গে বাড়তি পাওনা দুই উপস্থাপক ও ঘনিষ্ঠ বন্ধু ফেরদৌস-পূর্ণিমার খুনসুটি।