ঢাকা অফিস: রাজধানীর শ্যামবাজরে বুড়িগঙ্গা নদীতে লঞ্চ ডুবিতে ১২ ঘণ্টা পর একজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস কন্ট্রোল রুমের ডিউটি অফিসার শাহাদৎ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, রাত ১০টায় এক জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।উদ্ধারের পর তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। চিকিৎসার জন্য তাকে হাসপাতালে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। কোস্টগার্ড ও নেভির কর্মকর্তারা জানান, ধারণা করা হচ্ছে, তিনি যেখানে আটকা পড়েছিলেন সেখানে হয়তো সেভাবে পানি প্রবেশ করেনি। আজ যখন টিউবের মাধ্যমে বিশেষ প্রক্রিয়ায় লঞ্চটি তোলার চেষ্টা করা হচ্ছিল তখন লঞ্চটি সামান্য ভেসে ওঠার পর ওই ব্যক্তি নিজের প্রচেষ্টায় বেরিয়ে আসেন এবং উদ্ধার কর্মীরা তাকে দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে নৌকায় তুলেন। তারা জানান, দীর্ঘ সময় পানির নিচে আটকে থাকায় তার শরীরের তাপমাত্রা নেমে গিয়েছিল। পানির নিচে তলিয়ে গেলেও এ ব্যক্তি কীভাবে বেঁচে গেলেন তা নিয়ে জল্পনা-কল্পনা চলছে। আজ সোমবার সকাল নয়টার দিকে এমএল মর্নিং বার্ড নামের লঞ্চটি মুন্সিগঞ্জের কাঠপট্টি এলাকা থেকে সদরঘাটের উদ্দেশে রওনা হয়। সদরঘাটের কাছেই ফরাশগঞ্জ ঘাট এলাকায় নদীতে লঞ্চটি ডুবে যায়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৮ নারী ও ৩ শিশুসহ ৩২ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান গোলাম সাদেক জানান, ময়ূর–২ নামের একটি লঞ্চ সদরঘাট লালপট্টি থেকে চাঁদপুরের দিকে যাচ্ছিল। ওই লঞ্চটি মর্নিং বার্ডকে ধাক্কা দেয়। এতে মর্নিং বার্ড নামের লঞ্চটি ডুবে যায়।বিআইডব্লিউটিএর ঢাকা নদীবন্দরের যুগ্ম পরিচালক এ কে এম আরিফউদ্দিন জানান, ধাক্কা দেওয়া লঞ্চ ময়ূর–২ জব্দ করা হয়েছে। তবে লঞ্চের চালক পালিয়ে গেছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মুন্সিগঞ্জের কাঠপট্টি থেকে ছেড়ে আসা মর্নিং বার্ড লঞ্চটি সদরঘাটে নোঙর করার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। ওই সময় ঘাটে নোঙর করে থাকা ময়ূর-২ নামের আরেকটি লঞ্চ ঘুরানোর সময় সেটি মর্নিং বার্ডকে ধাক্কা দেয়। এতে সঙ্গে সঙ্গে মার্নিং বার্ড ডুবে যায়। ডুবে যাওয়া লঞ্চের যাত্রীদের কয়েকজন সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও অনেকেই ভেতরে আটকা পড়েন।
বুড়িগঙ্গায় লঞ্চডুবি : ১২ ঘণ্টা পর একজনকে জীবিত উদ্ধার
0
Share.