ডেস্ক রিপোর্ট: ৬০ বছর আগে নভোচারীর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় তাকে। ২০২১ সালে ৮২ বছর বয়সে জেফ বেজসের সঙ্গে মহাকাশে যাচ্ছেন তিনি। তিনি ওয়ালি ফাঙ্ক। নাসার মারকিউরি প্রোগ্রামের জন্য তাকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মহাকাশে অভিযান পরিচালনা সম্ভব হয়নি। এবার তার সময় এসেছে তারার মাঝে হারিয়ে যাওয়ার।বিশ্বের শীর্ষ ধনী ব্যক্তি জেফ বেজস ওয়ালি ফাঙ্ককে নিয়ে যাবেন মহাকাশে। ২০ জুলাইয়ের সাব অরবিটাল ট্রিপে বেজসের সঙ্গে যাচ্ছেন তার ভাই মার্ক বেজসও।বৃহস্পতিবার মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান ব্লু অরিজিনের পক্ষ থেকে ঘোষণা আসে, নিউ শেফার্ড সাব অরবিটাল মহাকাশযানে চড়ে মহাকাশ অভিযানে যাচ্ছেন ২ কোটি ৮০ লাখ ডলার নিলামে জেতা আরও একজন সৌভাগ্যবান, যার নাম এখনো প্রকাশ করা হয়নি।বেজস এ বিষয়ে ইন্সটাগ্রামে একটি পোস্ট করেছেন। যেখানে তিনি বলেছেন, ৮২ বছর বয়সী ফাঙ্ক তাদের সম্মানিত অতিথি হিসেবে মহাকাশে যাচ্ছেন। মারকিউরি থারটিন প্রোগ্রামে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করেছেন ফাঙ্ক।১৯৬১ সালে নাসার পক্ষ থেকে তাকে মহাকাশে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছিল। ১৩ জন নারী ও ৭ জন পুরুষকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছিল। এর মধ্যে ফাঙ্ক ছিল বয়সে সবচেয়ে ছোট।ফাঙ্ক জানান, দলে থাকা সবার চেয়ে প্রশংসা বেশি পেয়েছিলেন তিনি। মারকিউরি থারটিন টেস্টের সময় তিনি ১০ ঘণ্টা ৩৫ মিনিট একটি সেনসরি ডিপ্রাইভেশন ট্যাংকের মধ্যে ছিলেন।এক বক্তব্যে তিনি বলেন, তিনি নভোচারী হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু হতে পারেননি। ভাবতেই পারেননি এত বছর পর তার মহাকাশে যাওয়ার সুযোগ হবে। সবাই বলছে, তুমি একটা মেয়ে, তুমি পারবে না।ওয়ালি ফাঙ্ক বলেন, তুমি কে, এটা গুরুত্বপূর্ণ না। তোমার ইচ্ছাটাই গুরুত্বপূর্ণ। ওয়ালি সেগুলোই করতে পছন্দ করতেন, যা আগে কেউ কখনও করেনি।ফাঙ্কের বিমান পরিচালনার অভিজ্ঞতাও অনেক। ১৯ হাজার ৬শ’ ঘণ্টা আকাশে বিমান উড়িয়েছেন তিনি। ৩ হাজার মানুষকে শিখিয়েছেন কিভাবে ব্যক্তিগত আর বাণিজ্যিক ফ্লাইট পরিচালনা করতে হয়।কিন্তু ব্লু অরিজিনের নিউ শেফার্ড রকেটে মহাকাশ ভ্রমণে যেতে তার কোনো অভিজ্ঞতার প্রয়োজন নেই। স্বয়ংক্রিয় এ স্পেসক্রাফট আর রকেট সিস্টেম এমনভাবে তৈরি যে, কয়েক ঘণ্টার জন্য যে কেউ নভোচারী হয়ে যেতে পারবেন।
বেজসের সঙ্গে মহাকাশে যাচ্ছেন যে নারী
0
Share.