ডেস্ক রিপোর্ট: সম্প্রতি বৈরুত বন্দরে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ফলে দেশের ১,৫০০ কোটি ডলারের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট মিশেল আউন। ওই বিস্ফোরণের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটিগুলো প্রাথমিক তদন্ত শেষে এ তথ্য জানিয়েছে বলে জানান তিনি।গত ৪ আগস্ট বৈরুত বন্দরে ভয়াবহ বিস্ফোরণে অন্তত ১২৫ জন নিহত ও পাঁচ হাজারের বেশি আহত হয়েছে। এ ঘটনায় ফ্রান্স আন্তর্জাতিক তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে। লেবানন এক সময় ফ্রান্সের উপনিবেশ ছিল এবং লেবাননে বহু ফরাসি নাগরিকের বসবাস রয়েছে। এদিকে, বৈরুতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের এক সপ্তাহ পরও শোকে মুহ্যমান লেবানন। দুর্ঘটনায় মৃত্যুকে হত্যা বলে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন সাধারণ মানুষ। বিস্ফোরণের স্বচ্ছ তদন্তের দাবিতে, পার্লামেন্ট ভবনের বাইরে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এদিকে লেবাননে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য প্রয়োজনীয় সাহয্যের জন্য আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। এক সপ্তাহ আগের এ দুর্ঘটনা বদলে দিয়েছে শত শত মানুষের জীবন। গত মঙ্গলবার লেবাননের বৈরুতে ভয়াবহ বিস্ফোরণে তছনছ হয়ে গেছে অনেকগুলো পরিবার। হতাহতদের প্রতি তাই এ সার্বজনীন শ্রদ্ধা। বৈরুতের বিস্ফোরণস্থলে হাজির হন হাজারো মানুষের র্যালি। এ সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন অনেকে। অনুষ্ঠানে নিহতদের নাম পড়ে শোনানো হয়। দুর্ঘটনার জন্য সরকারকে দায়ী করে ক্ষোভ জানান তারা।স্মরণ অনুষ্ঠানে অংশ নেয়ার পাশাপাশি নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান বিক্ষোভকারীরা। সোমবার সকাল থেকেই পার্লামেন্ট ভবনের বাইরে জড়ো হন বহু প্রতিবাদকারী। এ সময় নিরাপত্তা বাহিনী তাদের বাধা দিলে, শুরু হয় সংঘর্ষ। লাঠিপেটার জবাবে আন্দোলনকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল এবং আতশবাজি ছোঁড়ে।এ অবস্থায় আবারো সব পক্ষকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক সংস্থা মুখপাত্র জেনস লার্কে।এদিকে ওই বিস্ফোরণের ফলে লেবাননের রাজনৈতিক অঙ্গনেরও মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। দুদিন আগে প্রধানমন্ত্রী হাসান দিয়াবের নেতৃত্বাধীন সরকার পদত্যাগ করে। রাজধানী বৈরুতসহ দেশের ভিন্ন স্থানে সরকারবিরোধী বিক্ষোভের জের ধরে দিয়াবের মন্ত্রিসভা পদত্যাগ করে।
বৈরুত বিস্ফোরণে ১৫০০ কোটি ডলারের ক্ষতি
0
Share.