বাংলাদেশ থেকে পটুয়াখালী প্রতিনিধি: চলতি মৌসুমে ব্যাপক হারে মরিচ চাষে আগ্রহী হচ্ছেন পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার কৃষকরা। জমি তৈরি এবং চারা রোপনে ব্যস্ত সময় পার করছে মরিচ চাষিরা। ভালো ফলন ও ন্যায্য দাম পাওয়ায় মরিচ চাষে আগ্রহী হচ্ছে কৃষকরা। মরিচ চাষ বেশ লাভজনক হওয়ায় ধান চাষের পাশাপাশি মরিচ চাষে আগ্রহী হচ্ছে। অল্প খরচে কাঁচা মরিচ আবাদ করে অধিক লাভবান হওয়ায় কৃষকরা আগ্রহ হচ্ছে। মরিচের বীজ বপনের ৩০-৪০ দিনের মধ্যে গাছে ফুল আসে এবং ৬০-৭০ দিনের মধ্যে কৃষক গাছ থেকে মরিচ উত্তোলন শুরু করে। এটি একটি অর্থকরী মসলা জাতীয় ফসল। জমিতে বিঘা প্রতি ১৫/২০ মন মরিচ উৎপন্ন হয়। প্রতিমন কাচা মরিচ হাটে বাজারে ২৫ শ টাকা থেকে ৩ হাজার টাকায় বিক্রয় করতে পারে কৃষক। সরল জমিনে কৃষকের সাথে কথা বলে জানা যায় আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার মরিচ চাষে ভালো লাভ হবে বলে জানান। বর্তমান বাজারে কাঁচামরিচ প্রতি কেজি ৬০ টাকা থেকে ৮০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। এলাকার কৃষকরা জানান, অজ্ঞাত রোগে মরিচ গাছের পাতা শুকিয়ে অনেক ক্ষতি হচ্ছে। লতাচাপলী ইউনিয়নের কৃষক মাসুম জানান, গত বছর ১ একর জায়গায় মরিচ দিয়েছিলেন। খরচ শেষে তার এক লাখ টাকা আয় হয়েছে। তাই এবারও তিনি ১.৫ একর জায়গায় মরিচ দিয়েছেন। যদি আবহাওয়া অনুকূলে থাকে এ বছরও ভালো ফসল পাবেন বলে আশাবাদী। কুয়াকাটার কৃষক জাহাঙ্গীর জানান, এবার তিনি ২ বিঘা জমিতে মরিচ চাষ করেছি।প্রতি বছরের চেয়ে এবার বেশি পরিমাণ জমিতে মরিচ চাষ করেছি। মরিচ চাষে লাভ ভালো হয়। এবার তিনি বেশি ফলনের আশা করছেন। কলাপাড়া উপজেলা কৃষি অফিসার কে আর এম সাইফুল্লাহ জানান, এ বছর ৬৮০ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষ হয়েছে। ফল বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃষি-সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রোগবালাই ও সার ব্যবস্থাপনা মাঠপর্যায়ে প্রত্যক্ষ করছে। আরো সহনশীল জাত উদ্ভাবনের লক্ষ্যে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে কৃষি বিভাগ। উপজেলার প্রতিটি গ্রামে গিয়ে মরিচ চাষিদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। আশা করি, কৃষক এবার মরিচের ভাল দাম পাবে।আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে মরিচ চাষে কৃষকরা লাভবান হবেন।
ব্যাপক হারে মরিচ চাষে ব্যস্ত কলাপাড়ায় কৃষকরা
0
Share.