ডেস্ক রিপোর্ট: দক্ষিণ-পূর্ব ব্রাজিলের দুটি স্কুলে শুক্রবার এক ব্যক্তি গুলি চালালে একজন কিশোরীসহ অন্তত তিনজন নিহত এবং ১১ জন আহত হয়েছে। কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি এ তথ্য জানিয়েছে। এস্পিরিটো সান্তো রাজ্যের আরাক্রুজ শহরে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বন্দুকধারী শুক্রবার ভোরে প্রথম স্কুলে একদল শিক্ষকের ওপর গুলি চালায়, এতে দুই নারী নিহত এবং আরও নয়জন আহত হয়। মেয়র লুইস কার্লোস কৌতিনহো রেডিও নেটওয়ার্ক সিবিএনকে বলেন, তারপর তিনি অন্য একটি স্কুলে যান, যেখানে তিনি একটি কিশোরী মেয়েকে হত্যা করেন এবং আরও দুইজনকে আহত করেন। রাজ্যের গভর্নর রেনাতো কাসাগ্রান্ডে বলেছেন, কর্তৃপক্ষ সন্দেহভাজন বন্দুকধারীকে ম্যানচেয়ার করার পর গ্রেপ্তার করেছে। তিনি তার টুইটালে জানান, ‘আমরা ঘটনার তদন্ত চালিয়ে যাব এবং শীঘ্রই আরও তথ্য পাওয়ার প্রচেষ্টা চালাব।’ ব্রাজিলে স্কুলে গুলি চালানোর ঘটনা তুলনামূলকভাবে বিরল, কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেড়েই চলেছে। ২০১১ সালে ব্রাজিলের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর স্কুল গুলিতে ১২ শিশু মারা গিয়েছিল। সেবার এক ব্যক্তি রিও ডি জেনিরো শহরতলির রিওলেঙ্গোতে তার প্রাক্তন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বন্দুক হামালা চালায় এবং পরে আত্মহত্যা করে। ২০১৯ সালে দুই প্রাক্তন ছাত্র সাও পাওলোর বাইরে সুজানোর একটি উচ্চ বিদ্যালয়ে আটজনকে গুলি করে হত্যা করেছিল এবং তারাও পরে আত্মঘাতী হয়। ব্রাজিলের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা সর্বশেষ গোলাগুলিকে ‘অযৌক্তিক ট্র্যাজেডি’ বলেছেন। তিনি টুইটারে লিখেছেন, ‘আমি হামলার কথা জেনে দুঃখিত হয়েছি। নিহতদের পরিবারের প্রতি আমার সমস্ত সংহতি… এবং দুটি স্কুল সম্প্রদায়ের তদন্ত ও সহায়তার জন্য গভর্নর কাসাগ্রান্ডের প্রতি আমার সমর্থন রইলো।’ লুলা এর আগেও ২০০৩ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত ব্রাজিলের রাষ্ট্রপতি ছিলেন। তিনি গত মাসে নির্বাচনে উগ্র ডানপন্থী রাষ্ট্রপতি জেইর বলসোনারোকে পরাজিত করেন। ১ জানুয়ারি থেকে নতুনভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। তিনি বলসোনারোর বন্দুক-নিয়ন্ত্রণ আইনে নাটকীয় নিষেধাজ্ঞার তীব্র সমালোচনা করেছেন।
ব্রাজিলের দুই স্কুলে গুলি, নিহত তিন
0
Share.