ঢাকা অফিস: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতে ইসলামের ডাকা হরতাল চলছে। রোববার (২৮ মার্চ) হরতালকে কেন্দ্র করে ঢাকা-সিলেট, কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়া অংশের কমপক্ষে ৪০ টি স্পটে টায়ার জ্বালিয়ে সড়কে ব্যারিকেড দেয়া হয়। এছাড়াও শহরের বিভিন্ন স্থানে বৈদ্যুতিক খুঁটি ফেলে ও টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে ব্যারিকেড সৃষ্টি করা হয়েছে।এদিকে এলাকাগুলোতে বন্ধ রয়েছে দোকান পাটসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। আঞ্চলিক ও মহাসড়কে ছোট-বড় এবং দূর পাল্লার যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে বিজিবি, পুলিশ, এবিপিএন বাহিনী টহল দিচ্ছে।
এদিকে সকাল থেকেই হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা হরতালের সমর্থনে জেলার বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ মিছিল করে। হেফাজত ইসলামের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর মাওলানা সাজিদুর রহমানের নেতৃত্বে জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গণ থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক ঘুরে প্রেসক্লাবের সামনে এক সংক্ষিপ্ত সভা করে। বক্তব্য রাখেন হেফাজত ইসলামের জেলার সাধারণ সম্পাদক ও জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মুফতি মোবারক উল্লাহসহ অনেকে।
চট্টগ্রাম ও ঢাকায় মাদ্রাসা ছাত্রদের ওপর হামলার ঘটনায় শুক্রবার উত্তপ্ত হয়ে উঠে ব্রাহ্মণবাড়িয়া। মাদ্রাসার ছাত্ররা হামলা চালিয়ে ভাঙ্গচুর এবং অগ্নিসংযোগ সরকারি বিভিন্ন অফিসে। আগুনে রেলস্টেশনের সবকিছু পুড়িয়ে দেয়া হয়।
শনিবার রাতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রনক্ষেত্রে পরিনত হয়। জেলার বিভিন্ন স্থানে সংর্ঘষে অন্তত ৮ জন নিহত হয় বলে হোফাজত ইসলামের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর মাওলানা সাজিদুর রহমান জানান। এছাড়াও আরো অনেক ছাত্র গুরুতর আহত হয়।