ডেস্ক রিপোর্ট: বেশ কয়েকটি কারণে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন চাপের মুখে ছিলেন। যার মধ্যে একটি বড় কারণ হচ্ছে কোভিড লকডাউনের সময় ডাউনিং স্ট্রীটে বিধিনিষেধ ভেঙ্গে পার্টি করতে দেয়া।তাই তাঁকে অনাস্তা ভোটের মুখোমুখি হতে হয়। অবশ্য অনাস্থা ভোটে বিজয়ী হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। ভোটে তার পক্ষে ভোট পড়ে ২১১টি। বিপক্ষে ভোট পড়ে ১৪৮টি। কনজারভেটিভ দলের ভেতরে ১৯২২ কমিটির সভাপতি স্যার গ্রাহাম ব্রেডি এই ভোটের ফলাফল ঘোষণা করেন। সোমবার রাতে কনজারভেটিভ দলের এমপিদের এক গোপন ব্যালটে মি. জনসনের ভাগ্য নির্ধারিত হয়। এই ফলাফলের সুবাদ আগামী এক বছর প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে দলের মধ্যে থেকে কোন ধরনের অনাস্থা প্রস্তাব আনা যাবে না। এই ফলাফলের পর শিক্ষামন্ত্রী নাদিম জাহাউই, যিনি আগেই মি. জনসনের প্রতি সমর্থন জানিয়েছিলেন, তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী সুন্দরভাবে ভোটে বিজয়ী হয়েছেন। আমি আশা করি আমরা বিষয়টি বিশেষভাবে লক্ষ্য করবো’। বিবিসির রাজনীতি বিষয়ক সম্পাদক ক্রিস মেসন জানাচ্ছেন, মি. জনসনের জন্য ভোটের গাণিতিক হিসেবটি খুবই কাজে লেগেছে। কিন্তু যারা মি. জনসনের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন সেই ১৪৮ জন কনজারভেটিভ এমপি মনে করছেন তার সরে যাওয়াই উচিত। সাবেক প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে’র বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোটে যতজন এমপি তার বিরুদ্ধে ছিলেন, মি. জনসনের বিরোধীরা সংখ্যায় তার চেয়েও বেশি। সেই ভোটের ছয় মাস পর টেরিজা মে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। মি. জনসনের সমর্থকরা অবশ্য বলছেন, এখন দলের পরিস্থিতি ভিন্ন। কিন্তু এই ভোটের অর্থ হলো মি. জনসনের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ রয়েছে, তা সহজেই দূর হবে না। ক্রিস মেসন লিখছেন, পার্টিগেট কেলেঙ্কারিকে প্রধানমন্ত্রীর জনপ্রিয়তা কতখানি কমেছে তার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছিল গত শুক্রবার যখন লন্ডনে সেন্ট পলস ক্যাথেড্রালের বাইরে সমবেত জনতা তার প্রতি দুয়ো দুয়ো বলে আওয়াজ তোলে। তিনি আরও বলেন, ‘চরম সত্যটা হলো এই কেলেঙ্কারিকে ঘিরে বহু লোক খুবই ক্ষুব্ধ হয়েছেন। কনজারভেটিভ এমপিদের অনেকেই মনে করছেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর আচরণকে কোনভাবে সমর্থন করা যায় না ।মি. জনসনকে সরিয়ে দিতে হবে, নয়তো আগামী নির্বাচনে জনগণই তাদের সরকারকে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য করবে’।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন অনাস্থা ভোটে বিজয়ী হলেন
0
Share.