ডেস্ক রিপোর্ট: লন্ডনে ফিরে যেতে চান আইএস বধূ শামীমা বেগম। তিনি সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেটে (আইএস) যোগ দেয়ার পর সেখানকার এক যোদ্ধাকে বিয়ে করেছিলেন। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এই ব্রিটিশ নারী ২০১৫ সালে আইএসে যোগ দিতে সিরিয়ায় পালিয়ে যান। সে সময় তার বয়স ছিল মাত্র ১৫ বছর। কিশোরী বয়সেই তিনি লন্ডন ছেড়ে সিরিয়ায় পাড়ি জমিয়েছিলেন। কিন্তু এখন নিজের দেশে ফিরতে চান এই নারী। তবে ব্রিটেন এই নারীকে দেশে ফেরার অনুমতি দেবে না বলে জানিয়েছে। একই সঙ্গে তার নাগরিকত্বও বাতিল করা হয়েছে। অপরদিকে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত হলেও তিনি এদেশেও ফিরতে পারবেন না। এদিকে, তার নাগরিকত্ব প্রত্যাহার ও তাকে দেশে প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে মঙ্গলবার যুক্তরাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আবেদন করেছেন শামীমা। বর্তমানে সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে কুর্দিশ বাহিনী নিয়ন্ত্রিত একটি ক্যাম্পে বাস করছেন শামীমা। শামীমার বয়স এখন ২০ বছর। ব্রিটেনে ফেরার জন্য লড়াই করে যাচ্ছেন তিনি। চলতি সপ্তাহে স্পেশাল ইমিগ্রেশন আপিল কমিশনে (এসআইএসি) তার ওই আবেদনের শুনানি হবে। তারপরেই তার নাগরিকত্বের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। তবে ব্রিটেনের আইন অনুযায়ী, একজন নাগরিকের ওপর থেকে তার নাগরিকত্ব প্রত্যাহার করে নেওয়া বৈধ হলেও তাকে রাষ্ট্রহীন করার পক্ষপাতী নয়। শামীমার বাবা-মা বাংলাদেশি হলেও বাংলাদেশ সরকার শামীমা বেগমকে গ্রহণ করবে না বলে জানিয়েছে। অপরদিকে শামীমা বেগমের জন্ম লন্ডনে এবং সেখানেই তিনি ১৫ বছর বয়স পর্যন্ত ছিলেন। তারপর সেখান থেকে সিরিয়ায় পালিয়ে গেছেন। এখন ব্রিটেন যদি তার নাগরিকত্ব ফিরিয়ে না দেয় তবে তিনি রাষ্ট্রহীন হয়ে পড়বেন।
ব্রিটেনে ফিরতে চান আইএস বধূ শামীমা
0
Share.