ভারতীয় হাইকমিশনে স্মারকলিপি দিলেন বিএনপির প্রতিনিধিরা

ঢাকা অফিস: ভারতের কলকাতা ও আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা, বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননা ও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাঁধানোর ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে স্মারকলিপি দিতে ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনে বিএনপির ৬ সদস্যের প্রতিনিধি দল। আজ রোববার (১৪ জুলাই) দুপুর ১টার দিকে তারা হাইকমিশনে প্রবেশ করেন। আজ রোববার বেলা ১টার দিকে জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের ৬ সদস্যের প্রতিনিধি দল বারিধারার ভারতীয় হাইকমিশনের সিকিউরিটি অফিসার ও কাউন্সিলর নারপাত সিংয়ের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন। এরপর স্মারকলিপি দেওয়ার জন্য বিএনপির তিন সংগঠনের ছয় প্রতিনিধিকে যাওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়। এই প্রস্তাবে রাজি হয়ে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের প্রতিনিধিরা ভারতীয় হাইকমিশনের উদ্দেশে রওনা হন। দুপুর ১টার দিকে প্রতিনিধিদল গুলশানে হাইকমিশনে পৌঁছালে তাদের স্মারকলিপিটি জমা নেওয়া হয়। এসময় যুবদল সভাপতি মোনায়েম মুন্না বলেন, যারা আগরতলায় বাংলাদেশের হাইকমিশনে ভাঙচুর করেছে এবং পতাকা পুড়িয়ে দিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা আমরা আগেই জানিয়েছি। ভারতীয় মিডিয়ার মিথ্যা প্রচারণার প্রতিবাদে আজকে আমাদের স্মারকলিপি কর্মসূচি ছিল। আজকে আমরা ভারতীয় হাইকমিশনের কাছে আমাদের প্রতিবাদের স্মারকলিপি পৌঁছে দিয়েছি । তিনি বলেন, আমাদের বক্তব্য খুবই পরিষ্কার। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের ওপর কোনো কিছু হলে বিএনপিসহ সারাদেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, সার্বভৌমত্বের বিষয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। তিনি বলেন, ৯০ শতাংশ মুসলিমের দেশে ইসকন যেভাবে একজন আইনজীবীকে হত্যা করেছেন, তা খুবই নিন্দনীয়। তবে এই ঘটনার পরও বাংলাদেশের মানুষ সর্বোচ্চ ধৈর্যশক্তি দেখিয়েছে। কিন্তু ভারতে প্রতিনিয়ত মুসলমানদের নির্যাতন করা হচ্ছে। এই উগ্রবাদীদের প্রতি তীব্র নিন্দা জানাই। তিনি বলেন, ভারতের প্রতি আমরা প্রতিবেশীসুলভ আচরণ করতে চাই। ইতোমধ্যে বিএনপি প্রধান খালেদা জিয়া বলেছেন, বাংলাদেশের বাইরে আমাদের কোনো প্রভু নেই, কিন্তু বন্ধু আছে। আমরাও এই একই সুরে বিশ্বাসী, আমরা বন্ধুসুলভ প্রতিবেশী চাই।