ডেস্ক রিপোর্ট: প্রবল শক্তি নিয়ে ভারতের স্থলভাগে আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় তাওকতে। উপকূলীয় ছয় জেলায় তাণ্ডব চালিয়েছে এ সুপার সাইক্লোন।ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে এ পর্যন্ত কর্ণাটক রাজ্যে চারজন ও গুজরাটে দুজন নিহত হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কর্ণাটক রাজ্যের ৭৩টি গ্রাম।আগামী মঙ্গলবার সকালে ঘূর্ণিঝড়টি গুজরাট উপকূলে আছড়ে পড়ার কথা থাকলেও এরই মধ্যে এর প্রভাবে পশ্চিম ও দক্ষিণ ভারতের একাধিক জায়গায় শুরু হয়েছে তুমুল বৃষ্টিপাত।এর আগে শনিবার রাতে কেরালায়ও ঝড়ের প্রভাবে দুইজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছিলো।এদিকে আজ রোববার বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গোয়ায় বেড়েছে ঝড়-বৃষ্টি। বহু স্থানে উপড়ে গেছে গাছ ও বিদ্যুতের খুঁটি। রাস্তার ওপর গাছ ও বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়ে বন্ধ হয়ে গেছে যান চলাচল। গোয়ার রাজধানী পানজিতে পড়েছে ঝড়ের প্রভাব।ভারতের মৌসুম ভবন জানিয়েছে, শনিবার রাত আড়াইটা নাগাদ এই ঝড়টি ছিল গোয়া থেকে মাত্র ১৫০ কিলোমিটার, মুম্বাই থেকে ৪৯০ কিলোমিটার এবং গুজরাট উপকূল থেকে ৭৩০ কিলোমিটার দূরে। আগামী মঙ্গলবার সকালে ঘূর্ণিঝড় তাওকতে গুজরাট উপকূল, পোরবন্দর ও ভাবনগর জেলার মহুভা এলাকায় আছড়ে পড়তে পারে।এরই মধ্যে এই ঘূর্ণিঝড়ের গতিপ্রকৃতি নিয়ে আলোচনায় বসেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি এই কোভিড পরিস্থিতিতে ঝড়ের সময় হাসপাতালগুলোতে যাতে বিদ্যুৎ সরবরাহের ক্ষেত্রে সমস্যা না হয় সে জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে আগাম ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। অন্যদিকে ঝড়ের সময় দলের সব কর্মীদের মানুষের পাশে থাকার নির্দেশ দিয়ে টুইট করেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী।উল্লেখ, রোববার সকাল থেকেই ভারতের মহারাষ্ট্র, গোয়া, কর্ণাটক ও গুজরাট উপকূলে ঝড়ের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। উত্তাল হতে শুরু করেছে সমুদ্র। কেরালা ও তামিলনাড়ু উপকূলে সমুদ্রের বিশাল বিশাল ঢেউ জানান দিতে শুরু করেছে ঝড়ের ভয়াবহতা।কর্ণাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, তাওকতে কর্ণাটক উপকুলে আংশিকভাবে আঘাত হেনেছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছে গেছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। দক্ষিণ-পূর্ব আরব সাগরে মাছ ধরার ক্ষেত্রে জারি করা হয়েছে সতর্কতা। কেরালা, কর্ণাটক, গোয়া ও মহারাষ্ট্র উপকূলে জারি করা হয়েছে চূড়ান্ত সতর্কতা।
ভারতে ঘূর্ণিঝড় ‘তাওকতে’র প্রভাবে ছয়জনের মৃত্যু
0
Share.