ঢাকা অফিস: ভালো কাজের প্রলোভনে ভারতে পাচারের শিকার ৭ তরুণীকে দুই বছর পর বেনাপোল বন্দর দিয়ে বাংলাদেশে ফেরত পাঠিয়েছে ভারতীয় পুলিশ। বৃহস্পতিবার (০২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ তাদের ট্রাভেল পারমিট প্রক্রিয়ায় বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশে সোপর্দ করে। ফেরত আসা তরুণীরা হলেন-যশোরের শিরিনা বিশ্বাস, কুড়িগ্রামের আজ্ঞুমা সুমি, ফরিদপুরের মৌসুমি আক্তার, চট্টগ্রামের রিয়া আক্তার, শৃপুরের সোহাগী আক্তার মিম, খাগড়াছরির জাকিয়া আক্তার ও সুনামগঞ্জের সুমা আক্তার। এসব তরুণীদের সকলের বয়স ২৫ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। গত দুই বছরে বিভিন্ন সময় এরা ভারতে পাচার হয়।বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবিব জানান, ইমিগ্রেশনে কাগজপত্রের আনুষ্ঠানিকতা শেষে আইনি সহায়তা দিতে এ তরুণীদের জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার নামে একটি এনজিও সংস্থা গ্রহণ করেছে। পাচারের শিকার তরুণীরা জানান, ভাল কাজ দেওয়ার নাম করে তাদের সীমান্ত পথে ভারতে নেয় দালালরা। পরে পাচারকারীদের খপ্পর থেকে মুক্তি পেয়ে বাড়ি ফিরছে তারা। তরুণীদেরকে গ্রহণকারী এনজিও সংস্থা জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ারের সিনিয়ার প্রোগ্রামার অফিসার এবিএম মুহিত হোসেন জানান, ভালো কাজের প্রলোভনে দালাল চক্রের খপ্পরে পড়ে এসব তরুণীরা দুই বছর আগে ভারতে যায়। এ সময় পাচারকারীরা তাকে ভালো কাজ না দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ কাজে ব্যবহার করে। খবর পেয়ে ভারতীয় পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদের উদ্ধার করে। পরে অবৈধ অনুপ্রবেশ আইনে মামলা দিয়ে আদালতে সোপর্দ করে। সেখান থেকে ভারতীয় একটি এনজিও সংস্থা তাদের ছাড়িয়ে নিজেদের হেফাজতে রাখে। পরে রাষ্ট্রীয় প্রক্রিয়ায় ট্রাভেল পারমিটে তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হয়। এ সময় তিনি আরও জানান, বর্তমান কোভিড পরিস্থিতির কারণে নিরাপত্তার কথা ভেবে কিশোরীকে যশোর গাজীর দরগায় প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে ১৪ দিন রাখা হবে। কোয়ারেন্টাইন শেষে তাদেরকে আইনি সহয়তাসহ কর্মসংস্থানের বিষয়ে সহযোগিতা করা হবে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।
