ঢাকা অফিস: স্বাধীনভাবে মায়ের ভাষায় কথা বলার অধিকার প্রতিষ্ঠায় জাতির যে বীর সন্তানেরা অকাতরে প্রাণ ঢেলে দিয়েছেন, সেই শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেমেছিল সর্বস্তরের জনতার ঢল। দল, মত, ধর্ম ও বর্ণ নির্বিশেষে সরকারি বিভিন্ন দফতর থেকে শুরু করে রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংস্থার নেতৃবর্গসহ সর্বস্তরের মানুষ ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করছে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। শুক্রবার অমর একুশের প্রথম প্রহরে (বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় দিনগত রাত ১২টার পর) রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন। তারপর ভোরেই শহীদ মিনার অভিমুখে প্রভাতফেরিতে নামে জনতার ঢল। রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা সেই জনস্রোত এসে মিশে গেছে শহীদ মিনারে। নীলক্ষেত, আজিমপুর কবরস্থান থেকে পলাশী হয়ে মানুষের দীর্ঘ লাইন পড়ে গেছে শহীদ মিনার অভিমুখে। শহীদ বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে তারা বের হচ্ছেন দোয়েল চত্বর ও টিএসসি ক্রসিং দিয়ে। সকাল থেকে দেখা যায়, সরকারি বিভিন্ন দফতর ও সংস্থার পাশাপাশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অনেক স্কুল-কলেজ এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, বিভিন্ন রাজনৈতিক-সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা যোগ দিয়েছেন প্রভাতফেরিতে। অনেকে শোকের প্রতীক কালো ব্যাজ ধারণ করে বাসা থেকে খালি পায়ে শহীদ মিনারে আসেন ভাষাসৈনিকদের শ্রদ্ধা জানাতে। এর আগে, বাংলাদেশ সময় রাত ১২টা ১ মিনিটে প্রথমে রাষ্ট্রপতি এবং এরপরই প্রধানমন্ত্রী শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এ সময় ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ কালজয়ী গানটি বাজানো হয়। পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থেকে ভাষা শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। এরপর স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী শহীদ বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ মন্ত্রীবর্গ ও সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে শহীদ মিনারে পুনরায় পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
ভাষা শহীদদের স্মৃতির মিনারে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা
0
Share.