ডেস্ক রিপোর্ট: সম্প্রতি ভাস্কর্য বিরোধী আন্দোলন বেশ জোরদার হয়েছে ব্রিটেনে। এমন পরিস্থিতিতে দেশটির ভাস্কর্য রক্ষায় আইন আনছে দেশটির সরকার। সেই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ব্রিটিশ একজন এমপি নাজ শাহ বলেছেন, ভাস্কর্য রক্ষায় আইন করা হলেও কেন মহানবী (সা.) কে অসম্মানের সুযোগ করে দেয়া হচ্ছে?ভাস্কর্য রক্ষায় ব্রিটিশ সরকার পার্লামেন্টে যে বিল উত্থাপন করেছে, সেটা নিয়ে হাউজ অব কমন্সে বিতর্ক হয়েছে। সেই বিতর্কে অংশ নিয়ে এমপি নাজ শাহ এমন মন্তব্য করেছেন। তার সেই বিতর্কের ভিডিও টুইটারেও পোস্ট করেছেন তিনি।এই বিলটি আইনে পরিণত হলে কেউ যদি কোনও ভাস্কর্যের সম্মানহানি করে তাহলে তার ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে। আগে এই সাজার পরিমাণ আরও কম ছিল।এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে নাজ শাহ বলেন, এজন্য প্রশ্ন দাঁড়ায় একটি পাথরের দেয়াল বা লোহার গেটের ক্ষতি করার চেয়ে একটি পাথর বা লোহার ভাস্কর্যের ক্ষতিসাধনের সাজা কেন এত বেশি?তিনি বলেন, এর কারণ হচ্ছে ওই ভাস্কর্যের সামাজিক গুরুত্ব। সমাজে শান্তি বজায় রাখতে এগুলোকে সুরক্ষা দিতে হবে।নাজ শাহ বলেন, অতীতের কোনও চরিত্রের ব্যাপারে কারও আপত্তি থাকতেই পারে। কিন্তু উইন্সটন চার্চিলসহ তার মতো আরও অনেকে ভাস্কর্যের ক্ষতিসাধন একটি দেশের ঐক্যের জন্য বিপজ্জনক।তিনি আরও বলেন, আমি এবং এই দেশের লাখ লাখ মুসলিম এবং বিশ্বের প্রায় ২০০ কোটি মুসলিমের জন্য প্রতিদিন এবং প্রতি মুহূর্তে আমরা মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) কে প্রাণের বেশি ভালোবাসি ও শ্রদ্ধা করি।নাজ শাহ বলেন, যারা বলেন ‘এটা কেবল একটা কার্টুন’। তাদের মতো আমিও বলবো না ‘এটা কেবল একটি ভাস্কর্য’। কারণ যখন ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং পরিচয়ের প্রশ্ন আসে তখন আমি ব্রিটিশ অনুভূতি বুঝতে পারি।তিনি বলেন, এটা কেবল একটি কার্টুন নয় এবং এগুলো শুধু ভাস্কর্যও নয়। এগুলো মানুষ হিসেবে আমাদের কাছে অনেক বেশি অর্থপূর্ণ।
ভাস্কর্য রক্ষায় আইন হলে মহানবী (সা.) এর সম্মান রক্ষার্থে আইন নয় কেন?
0
Share.