ডেস্ক রিপোর্ট: দেশদ্রোহিতার’ অভিযোগে ইরানি সাংবাদিক রুহুল্লাহ জ্যামের ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। আমাদ নিউজের সম্পাদক রুহুল্লাকে শনিবার সকালে ফাঁসির দড়িতে ঝুঁলিতে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করে ইরান। গ্রেপ্তার এড়াতে ইরানের বাইরে বেশ কিছুদিন নির্বাসিত জীবন-যাপন করেন রুহুল্লাহ। ফ্রান্স, ইসরায়েল ও আরও কিছু পশ্চিমা দেশের সহযোগিতায় ইরান-বিদ্বেষী প্রচার চালানোর অভিযোগে ২০১৯ সালে রুহুল্লাকে আটক করে ইরানের রিভ্যুলুশনারি গার্ড (আইআরজিসি)। গ্রেপ্তারের কয়েক মাসের মাথায় রুহুল্লার ফাঁসির আদেশ দেন ইরানের রিভ্যুলুশনারি কোর্ট। পরবর্তীতে গেল মঙ্গলবার রিভ্যুলুশনারি কোর্টের সেই ফাঁসির আদেশ বহাল রাখে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। ইরানের অভিযোগ ম্যাসেজিং অ্যাপ ‘টেলিগ্রামের’ মাধ্যমে সরকার বিরোধী বিভিন্ন কনটেন্ট শেয়ার করতেন রুহুল্লাহ। বিশেষ করে ২০১৭ সালে ইরানের সরকার পতনের আন্দোলনের সকল খবর ‘আমাদ নিউজের’ মাধ্যমে সমগ্র ইরানে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন তিনি। রুহুল্লাহ মূলত ফ্রান্স থেকে ‘আমাদ নিউজ’ চ্যানেলটি চালাতেন। যেটি সমগ্র ইরানে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে। ইরানি সরকার চ্যানেলটিকে বন্ধ ঘোষনা করলেও এখনও প্রায় ১০ লাখ ইরানি নাগরিক চ্যানেলটি ‘টেলিগ্রামে’ ফলো করেন। ২০০৯ সালের গ্রিন মুভমেন্টের পর ’১৭ সালের এই আন্দোলন ছিল ইরানের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় আন্দোলন। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে রুহুল্লার বিরুদ্ধে ‘করাপশন অন আর্থ’ অভিযোগ আনে ইরান। সাধারণত গুপ্তচরবৃত্তি বা ইরান সরকারকে উৎখাতের চেষ্টায় থাকা লোকজনের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ আনা হয়। তবে আদালতে সাংবাদিক রুহুল্লাহ বলেছেন, ‘তিনি শুধু গনমাধ্যমের কাজের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ইরানের পতনের জন্য কোন বিদেশী ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না।’ রুহুল্লাহর ফাঁসি ঠেকাতে তার বাবা মোহাম্মদ আলী জ্যাম বিচারবিভাগীয় প্রধান ইব্রাহিম রাইসির নিকট একটি চিঠি লিখেছিলেন। এই ফাঁসির রায়কে ইসলাম বিরোধী আখ্যায়িত করে যেখানে তিনি লিখেছিলেন, তার ছেলে সঠিক বিচার পাননি।
ভিন্নমতাবলম্বী ইরানি সাংবাদিক রুহুল্লাহর ফাঁসি কার্যকর
0
Share.