শনিবার, নভেম্বর ২৩

ভোলায় ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের আগাম সতর্কতা হিসেবে ৭৪৬ আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত

0

বাংলাদেশ থেকে ভোলা প্রতিনিধি: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিন্মচাপরে ফলে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের আগাম সতর্কতা হিসেবে ভোলায় মোট ৭৪৬ টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে ভোলায় রাত থেকে ঝড়ো হাওয়া ও মুষলধারে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। নদী ও সাগর মোহনা উত্তাল হয়ে উঠায় সকাল থেকে ভোলার সকল রুটে লঞ্চ ও ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। সকাল থেকে ভোলার বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চলের মানুষকে মূল ভূখণ্ডে আনার জন্য কার্যক্রম শুরু করেছে স্থানীয় প্রশাসন। ভোলায় ঘণ্টায় ১৫ নটিকেল মাইল বেগে ঝড়ো বাতাস বইছে। গত রাত থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত জেলায় ৭২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। ঝড়ে বিভিন্ন স্থানে গাছপালা উপড়ে পড়ার খবর পাওয়া গেছে। কোস্ট গার্ড চর মানিকা কন্টিনজেন্ট কমান্ডার জানান, চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে তারা চরফ্যাশনের বিচ্ছিন্ন চর ঢালচর, চর পাতিলাসহ আরও কয়েকটি চরের বাসিন্দাদেরকে নিরাপদ আশ্রয়ে আনার জন্য কাজ শুরু করেছেন। ভোলা আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক মাহবুবুর রহমান জানান, উপকূলীয় জেলা ভোলায় ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ভোলায় ৭২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়াও ঘণ্টায় ১৫ নটিক্যাল মাইল বেগে ঝড়োবাতাস বইছে। ভোলা জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন জানান, দুর্যোগকালিন সময়ে আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নেওয়া মানুষদের জন্য পর্যাপ্ত শুকনো খাবারের প্যাকেট প্রস্তুত করা হচ্ছে। এছাড়াও ২৫ মেট্রিকটন চাল ও ৫ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) উপপরিচালক মো. শহীদুল ইসলাম জানান, ভোলার মেঘনা নদী উত্তাল থাকায় সকাল থেকে সকল ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত ভোলা থেকে সকল ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ থাকবে। এ দিকে ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে বলে জেলা প্রশাসক মো. তৌফিক ই-লাহী চৌধুরীর জানান। তিনি জানান, ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় জেলার ৭৪৬টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে। সাত উপজেলায় খোলা হয়েছে ৮টি কন্ট্রোল রুম। গঠন করা হয়েছে ৭৬টি মেডিকেল টিম। দুর্যোগ মোকাবেলায় ১৩ হাজার ৬০০ জন সিপিপি স্বেচ্ছাসেবক মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে। তিনি আরও জানান, জেলার মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ চরাঞ্চলের বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে আনার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

Share.